মোবাইলে থাকতেই হবে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ, চেক-আপ ছাড়া আসা যাবে না অফিস- সরকারি কর্মীদের নির্দেশ কেন্দ্রের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় সম্প্রতি আরোগ্য সেতু অ্যাপ এনেছে সরকার ৷ এবার তার ব্যবহার সমস্ত সরকারি কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক হল ৷

ডিপার্টমেন্ট অফ পারসনেল এন্ড ট্রেনিংয়ের এই নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে তাদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ নামাতে হবে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন অফিসে আসার আগে নিজেদের অ্যাপ ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যাতায়াতের মাধ্যম যাচাই করে নিতে হবে। শারীরিক পরিস্থিতি কেমন সেই অনুযায়ী যদি সুস্থ বলে জানানো হয় আরোগ্য সেতু অ্যাপে, তবেই আসা যাবে অফিসে। যদি ‘মডারেট’ বা ‘হাই রিস্ক’ দেখায় তৎক্ষণাৎ অফিস আসার পরিকল্পনা বাতিল করে সেল্ফ আইসোলেশনে যেতে হবে ১৪ দিনের জন্য।

এদিন কেন্দ্রের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কর বলা হয়েছে, এখনই প্রত্যেক অফিসার ও কর্মীকে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে নিজেদের মোবাইল ফোনে। অফিসে ঢোকার আগে মোবাইল ফোনে ওই অ্যাপে দেখে নিতে হবে তাঁদের স্ট্যাটাস। ওই অ্যাপ যদি ‘সেফ’ অথবা ‘লো রিস্ক’ দেখায় তবেই অফিসে যোগ দেওয়া যাবে।

লোকেশন ডাটা ব্যবহার করে ওই অ্যাপ জানতে পারবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিক কোথায় আছেন? ব্লু টুথ কানেকটিভিটি ব্যবহার করে সেই অ্যাপ জানিয়ে দেবে, যিনি মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ ডাউনলোড করেছেন তিনি আক্রান্ত ব্যক্তির ছ’ফুটের মধ্যে রয়েছেন কিনা। অর্থাৎ ‘আরোগ্য সেতু’ ব্যবহারকারী ব্যক্তি ‘হাই রিস্ক জোন’-এ আছেন কিনা, তা বুঝতে পারবে ওই অ্যাপ। যদি ‘আরোগ্য সেতু’ ব্যবহারকারী হাই রিস্ক জোনে থাকেন, তাহলে অ্যাপ তাঁকে পরামর্শ দেবে, অবিলম্বে পরীক্ষা করান। ১০৭৫ নম্বরে ফোন করে জানুন, আপনার নিকটবর্তী কোথায় কোভিড ১৯ রোগের পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন।

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী! ১০১টি বাসে করে রাজস্থানে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ফেরাচ্ছে রাজ্য

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেবে ‘আরোগ্য সেতু’। কেউ যদি করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ হন, অথবা কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসেন, তাঁকে প্রয়োজনীয় সরকারি তথ্য দেবে ওই অ্যাপ। সেই অ্যাপে ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। সং শ্লিষ্ট ব্যক্তি বাদে অপর কেউ সেই অ্যাপে সংরক্ষিত তথ্য দেখতে পাবে না। অ্যাপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানতে পারবেন, তাঁর দেহে কোভিড ১৯ এর লক্ষণ আছে কিনা। প্রতিটি রাজ্যের হেল্পলাইনের নম্বরও সেই অ্যা পে আছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।

চলতি মাসের শুরুতেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহারের উপর জোর দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি পরপর হ্যাঁ-না এর মাধ্যমে প্রশ্ন করা হয়। অর্থাৎ জ্বর আছে কি না, শরীর দুর্বল কিনা, কাশি হচ্ছে কিনা কিংবা শ্বাসকষ্ট। এই প্রশ্ন গুলিতে ব্যবহারকারী যে উত্তর দেন তার ভিত্তিতে অ্যাপের অ্যালগোরিদমে তার করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা জানানো হয়।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের এক কর্মীর দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তারপরেই তড়িঘড়ি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নীতি ভবন। সেই কর্মীর সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছেন এমন প্রত্যেককে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে সুখবর! পুত্রসন্তানের বাবা হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest