মহালয়ার একমাস পরে এবার দুর্গাপুজো, কেন এমন দেরি জেনে নিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: চলতি বছর ১ জুলাই থেকে চতুর্মাস শুরু হচ্ছে। এই সময় যে কোনও শুভকর্ম বর্জিত। হিন্দু নিয়ম-নীতি অনুযায়ী দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু করে দেবপ্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত সময়কালকে চতুর্মাস বলা হয়। এই চার মাসে বিবাহসংস্কার, গৃহ প্রবেশ ইত্যাদি কোনও ধরণের মাঙ্গলিক কাজ নিষিদ্ধ। দেবোত্থান একাদাশীর সঙ্গে শুভকাজ পুনরায় শুরু হয়।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দেবশয়নী একাদশীর দিন বিষ্ণু পাতাললোকে নিদ্রা যান। তাই এ সময় সমস্ত ধরনের মাঙ্গলিক কার্য নিষিদ্ধ হয়। এ বছর ১ জুলাই দেবশয়নী একাদশী।চলতি বছর অধিকমাসে দুটি আশ্বিন মাস হবে। তাই চতুর্মাসও চার মাসের পরিবর্তে পাঁচ মাসের হবে।

আরও পড়ুন : দেশের প্রথম করোনা টিকা COVAXIN-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে জুলাইতে

অতএব সমস্ত পূজাপার্বণও প্রায় এক মাস দেরিতে শুরু হবে। পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার পরই দূর্গাপূজা শুরু হত, কিন্তু এ বছর তা হবে না। পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার পরই আশ্বিন মাসের অধিকমাস বা মলমাস শুরু হবে। 

দেবীপক্ষ শুরু হবে প্রায় ২০-২৫ দিন দেরিতে। পিছিয়ে যাবে লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোও। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি তিন বছরে একবার একটি অতিরিক্ত মাস আসে। একেই অধিকমাস, মলমাস ও পুরুশোত্তম মাসও বলা হয়। 

সূর্য ও চন্দ্র মাসের গণনার ওপর ভিত্তি করে হিন্দু ক্যালেন্ডার পরিচালিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি সূর্যবর্ষ ৩৬৫ দিন ও প্রায় ৬ ঘণ্টার হয়ে থাকে। আবার চন্দ্রবর্ষ ৩৫৪ দিনের হয়। এই দুইয়ের মধ্যে ১১ দিনের পার্থক্য থাকে। তিন বছরে এটি এক মাসের সমান হয়ে যায়। এই অতিরিক্ত মাসের পার্থক্য দূর করার জন্য প্রতি তিন বছরে একবার অতিরিক্ত মাস আসে। একেই অধিকমাস বলা হয়। এবছর আশ্বিন মাসের অধিকমাস। ১৯ বছর আগে ২০০১ সালে অধিকমাস ছিল।

অধিকামাসে সমস্ত পবিত্র কার্য বর্জিত। এই পুরো মাসে কোনও সূর্য সংক্রান্তি না-থাকায় এই মাসটি মলিন হয়ে যায়। তাই একে মলমাস বলা হয়। আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী একই মাসে দুটি অমাবস্যাকেও মলমাসের অন্যতম কারণ মনে করা হয়। 

শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে চাতুর্মাস, এ সময় খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিত। ব্রত ও সংযম পালন করা উচিত। এই চার মাসে ব্যক্তির পাচনক্রিয়া দুর্বল থাকে। এ ছাড়াও খাবার ও জলে ব্যক্টিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

চাতুর্মাসে এক স্থানে থেকে জপ ও তপ করা হয়। এ সময় বিষ্ণু পাতাললোকে বিশ্রামের জন্য যান। সে সময় সৃষ্টির সঞ্চালন করেন শিব। এ সময়ই শিবের সবচেয়ে প্রিয় শ্রাবণ মাসও আসে। 

আরও পড়ুন : নয়াদিল্লির অ্যাপ ব্যান নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া বেজিংয়ের

Gmail 6
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest