গ্রীষ্মের দাবদাহে দিন কাটানোর পর,বৃষ্টি সকলের মনে উৎসাহ ও আশার সঞ্চার করে। বাস্তুশাস্ত্রেও বর্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু আচারের উল্লেখ আছে, যা পালন করলে জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর হবে।
১) বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বৃষ্টির জল ব্যক্তিকে ঋণ মুক্ত করে। শত চেষ্টার পরও যদি কেউ ঋণ থেকে মুক্তি না-পায়, তা হলে, এক বালতি বৃষ্টির জলে দুধ মিশিয়ে স্নান করুন। এর ফলে ঋণ মুক্তি সম্ভব হতে পারে।
২) আবার ব্যবসায়ে লাগাতার ক্ষতি হলে, পেতলের পাত্রে বৃষ্টির জল ধরে রেখে লক্ষ্ণীর অভিষেক করুন।
৩) আর্থিক অনটন থাকলে মাটির কলসিতে বৃষ্টির জল ভরে ঘরের উত্তর দিকে রেখে দিন। এমন করলে আর্থিক অভাব দূর হয়।
৪) একটি বাটিতে বৃষ্টির জল ভরে ছাদে রেখে দিতে হবে। তাতে রোদ লাগার পরে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করে, সেই জলকে আমের পাতায় ছিটিয়ে দিন। এমন করলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। এর ফলে ধন বৃদ্ধি হয়।
৫) আবার কাচের বোতলে বৃষ্টির জল ভরে শয়নকক্ষে রাখলে দাম্পত্য জীবন মধুময় হয়।
উল্লেখ্য, বাস্তুশাস্ত্র এমন এক শিল্প, যার মাধ্যমে এই ভালো ও খারাপ শক্তির মধ্যে সমতা রক্ষা করা যায়। ইমারত তৈরির পাশাপাশি, যেখানে সেটি অবস্থিত তার মাটি পরীক্ষা, সামনে দিয়ে যেভাবে রাস্তা গিয়েছে, ইমারতটি কোন দিকে মুখ করে রয়েছে, জলের ব্যবস্থা, আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই বাস্তু শাস্ত্রের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত। আমাদের প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থতেও বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালের বাস্তু বিশেষজ্ঞ রাজ বল্লভের মতে ভালো বাড়ি শুধু নয়, ভালো জীবনের জন্যও বাস্তু মেনে চলা প্রয়োজন।