ওয়েব ডেস্ক: মুম্বই থেকে গত মঙ্গলবার লখনউ আসে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। ওই ট্রেনে স্বামী ও এক আত্মীয়কে নিয়ে ফেরেন এক মহিলা। কিন্তু ট্রেনের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার ফটোগ্রাফার স্বামীর।
সোমবার রাতে ট্রেনে উঠে ঘুমিয়ে পড়েন মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে পর্যটকদের ছবি তোলার কাজ করা ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকাল ৮.৩০-তেও তাঁর ঘুম না ভাঙায় স্ত্রী ভয় পেয়ে যান। ট্রেন লখনউয়ে পৌঁছলে সেখানে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তার। পরে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভি আসে। ওই কোচে থাকা অন্য় যাত্রী, ডাক্তার এবং আরও যারা মৃতদেহের সংস্পর্শ এসেছেন, তাঁদের সবাইকে কোয়ারনাটিন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা রুখবে চার আয়ুর্বেদিক ওষুধ! ট্রায়াল শুরু হবে এক সপ্তাহের মধ্যে
মৃত ফটোগ্রাফারের সংস্পর্শে আসা মোট ২০০ জনকে কোয়ারানটিন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। করোনাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির নাম বিনোদকুমার উপাধ্যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শিথিল করে দেওয়া হচ্ছে লকডাউন। অথচ সংক্রমণ কমেনি। মাঝখান থেকে বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। যদি সব খুলেই দেওয়া হবে সংক্রমণের সম্ভবনা থাকার পরও, তাহলে তাদের প্রাণ নিয়ে ছেলে খেলা করা হল কেন। এর জবাব দেবে কে। জবাব নেই। জবাব মিলবে না।
আরও পড়ুন:দেশপ্রেম জাগাতে ৩ বছরের মেয়াদে বাহিনীতে আমআদমি! প্রস্তাব ভারতীয় সেনার