একটানা বৃষ্টির কারণে আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বক আর চুলের ক্ষতি মারাত্মক। ত্বক তৈলাক্ত দেখায়। ফলে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। চুল শুকোতে চায় না। খুশকি দেখা দয়ে। চুল ঝরে খুব বেশি। সুতরাং এই বর্ষার মরশুমে ত্বক আর চুলের জন্য চাই আলাদা যত্ন।
ক্লিনজিং: বর্ষায় মুখ হয়ে পড়ে তৈলাক্ত। এই সমস্যা দূর করতে দরকার দিনে অন্তত দু’বার ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোওয়া। সকালে আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। তবে ক্লিনজার যেন নরম হয়। কিছু ক্লিনজার ত্বক খসখসে করে দেয়। এমন ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না।
এক্সফোলিয়েশন: বর্ষাকালে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন দরকারি বিষয়। সেক্ষেত্রে ত্বকের মৃত কোষ সরে যায়। একইসঙ্গে রোমকূপগুলিও পরিষ্কার হয়ে যায়। মুখ ফের উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি স্ক্র্যাব ব্যবহার করতে পারেন।
মিস্ট: বর্ষার সময় খুব ভারী ধরনের ক্রিম মুখে ব্যবহার করা যায় না। সেক্ষেত্রে মুখে টোনিং মিস্ট বা ফ্লোরাল ওয়াটার ব্যবহার করা যায়। তবে মাঝে মধ্যে ফেস অয়েল বা ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ত্বক ঠাণ্ডা রাখবে এই ৫ ফেসপ্যাক
মাস্কিং: দরকার মতো আর ত্বকের ধরন অনুসারে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
ফেস অয়েল: রোজ হিপ অয়েল, জোজোবা তেল, শণের বীজের তেল মুখের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ধরনের তেল রোমকূপ বন্ধ করে না।
সানস্ক্রিন: বাইরে মেঘ করেছে বলে মুখে সানস্ক্রিন মাখবেন না ভাবলে চলবে না। ইউভি রে মেঘ ভেদ করেও ত্বকের উপর পড়ে। তাই মেঘলা দিনেও ত্বকে ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন।
মেকআপ এড়িয়ে যান: মেঘলা দিনে মেকআপ করা এড়িয়ে যান। বরং ত্বককে একটু শ্বাস নিতে দিন। বৃষ্টির দিনে একটু প্রাকৃতিক ভাবে থাকার চেষ্টা করুন।
চুলের যত্ন
– বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা থাকে অনেক বেশি। তাই বেশি শ্যাম্পু করাও যেমন ভাল নয়, তেমনই একেবারে শ্যাম্পু না করলে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে হ্যাঁ একটু নরম ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভাল। মনে রাখবেন, শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে চুলের গোড়ায়। সমস্ত চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল হয়ে উঠবে শুকনো খটখটে।
– বর্ষাকালে চুলে যা খুশি কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চলবে না। ব্যবহার করুন লিভ ইন কন্ডিশনার।
আরও পড়ুন: মসৃণ ত্বক পেতে ঘরোয়া উপায়েই বানান পিল-অফ মাস্ক! কার কোন মাস্ক দরকার, জেনে নিন