নয়াদিল্লি: সামান্য করোনা উপসর্গ যাদের দেখা দিয়েছে তাদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ সোমবারই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কেন্দ্রও তার নির্দেশিকাতে সেই একই কথাই ঘোষণা করল।
সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেউ যদি কোভিড-১৯ পজিটিভ হন তাঁর উচিত সরকারি চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই থাকা। তাঁরা বাড়িতেই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলা এবং তাঁদের কথামতো ওষুধ থাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরামর্শের কথা সম্মেলনে উপস্থিত বহু সাংবাদিকই টুইট করে জানিয়ে দেন। কিন্তু পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাই কেবল নিজেদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকবেন। রোগীরা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে ঘিরে কটাক্ষও করতে থাকে বিজেপির ট্রোল বাহিনী।
আরও পড়ুন: মানবিকতা! আক্রান্তদের সুস্থ করতে প্লাজমা দিচ্ছেন করোনামুক্ত ৩০০ জন তবলিঘি
কিন্তু পরের দিনই বদলে গেল কেন্দ্রের সুর। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনি যদি সামান্য লক্ষণযুক্ত হন তাহলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই থাকতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তাঁকে এই কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতে স্বেচ্ছাবিচ্ছিন্ন থাকাকালীনও ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মিত স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে। অর্থাৎ সেই মমতার কথা শেষ পর্যন্ত মেনে নিল মোদী সরকার।
তবে রাজ্যের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, কোভিড আক্রাম্ত হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বল্প মাত্রার সংক্রমিত কোভিড রোগীকেও বাড়িতে থাকার অনুমতি দিল। পরে রাজ্য সরকারও একই মর্মে বিবৃতি জারি করে। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যাঁদের উপসর্গ মৃদু এবং বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার সুবিধা রয়েছে, তাঁরা বাড়িতেই থাকুন। এই ধরনের রোগীর উপসর্গকে ‘ভেরি মাইল্ড বা প্রি-সিম্পটোম্যাটিক’ বলা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও জানিয়েছে, এই রোগীরা সরকারি নজরদারিতে থাকবেন। স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি অফিসাররা সময়ান্তরে তাঁদের খোঁজ নেবেন। তাঁদের একটা আন্ডারটেকিংয়েও সই করতে হবে। তা ছাড়া সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে তা সব সময় অ্যাকটিভ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: আর্থিক অচলাবস্থা কাটাতে ধনীদের ওপর কর চাপানোর প্রস্তাব, তিন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসককে খবর দিতে হবে।নির্দেশিকা অনুসারে রোগীকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক যদি দেখেন যে, তাঁর শরীরে রোগের কোনও চিহ্ন নেই এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে যদি ফল নেগেটিভ হয়, তবেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে আইসোলেশন শেষ হবে।