#হুগলি: একুশের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। হুগলির গুড়াপের কাছে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
রবিবার সকালে বাঁকুড়া থেকে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে বাসে এবং গাড়িতে আসছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। অভিযোগ,হুগলির গুড়াপের কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তাঁদের বাস এবং গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে ঢিল ছুড়তে শুরু করে একদল ব্যক্তি। এর জেরে গাড়িগুলি দাঁড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে টেনে নামিয়ে তৃণমূলকর্মীদের মারধর করে তারা। বাস এবং গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় অভিযোগ বিজেপির দিকে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন তৃণমূলকর্মীরা। পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শনিবার বাঁকুড়ার সোনামুখীর বাগচীবাঁধেও একইভাবে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বচসা এবং তারপর তৃণমূলের ছয়টি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দিকে।
এছাড়া এদিন সকালে যখন আরামবাগের বসন্তপুর থেকে বাস চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা, তখন বিজেপি কর্মীরা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দেন অভিযোগ। ফের তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে আরামবাগের বসন্তপুরে যান এসডিপিও নিমাই দাস। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তৃণমূলকর্মীদের বাসটিকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে আরামবাগে তৃণমূলকর্মীদের বাস আটকানো ও এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের পালটা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কর্মীরাই।
তৃণমূল কর্মীদের বাসে ভাঙচুরের ঘটনায় রবিবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হুগলির সিঙ্গুরেও। সকালে বাঁকুড়া থেকে বাস করে কলকাতায় আসছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, সিঙ্গুরের রতনপুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-র কাছে তিনটি বাসে ইট মেরে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-তে পথ অবরোধ শুরু করে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিঙ্গুর থানায়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২১ জুলাই–এর মঞ্চে বলতে উঠে মমতা বলেছেন, যেসব জায়গায় দলীয়কর্মীদের বাস বিজেপি ভেঙেছে সেই সব জায়গায় সোমবার পাল্টা মিছিল করবে তৃণমূল। শনিবার বাঁকুড়ার ওন্দায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জবাবে দিলীপ হুমকি দেন, ‘এফআইআর যখন করেছে তখন গন্ডগোল করবই। রেল, বাস সব বন্ধ করে দেব।’ দিলীপের সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মমতা রবিবার শহিদ সমাবেশের মঞ্চে মমতার সতর্কবার্তা, ‘বিজেপির নেতারা আমাদের কর্মীকে বাস থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করেছে। তৈরি থাকুন, আমাদের লোকেরাও যদি একই পদ্ধতিতে আপনাদের সঙ্গে আচরণ করে রুখতে পারবেন তো?’