কলকাতা: আনলক শুরু হতে শহরে শুরু যানজট। টালা সেতু যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহের সেই যান যন্ত্রণার দুঃস্বপ্নটা ফিরে এল সোমবার। জেলার অবস্থা তথৈবচ। শিকেয় সামাজিক দূরত্ব।
শহরে অটোয় তোলা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। আর তাতে আপত্তি নেই দু পক্ষের কারও। বেলা বাড়তেই এদিন শহরের রাস্তায় চোখে পড়ল যানজটের ছবি। ৭ জন যাত্রী নিয়ে ছুটল অটো। যুক্তি, নিয়ম মানতে গেলে বাড়ি পৌঁছনো দায় হবে। সাধারণ মানুষ অকুতোভয়। বারাসত-বারুইপুর রুটের বাসে ঠেসে যাত্রী তোলা হলেও আপত্তি করলেন না কেউ। দেখা মিলল না পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের।
আরও পড়ুন: ফের ঝড়ের দাপট কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে, ভাসবে গোটা রাজ্য
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক শাখার শীর্ষ আধিকারিকরা এই যানজটের কথা স্বীকার করছেন। পুলিশ কর্তাদের দাবি, বাস বা গণপরিবহণ খুব কম সংখ্যায় রাস্তায় থাকায় ছোট গাড়ির সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাইকের সংখ্যা।
সেই সঙ্গে পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, অনেক জায়গাতেই আমপানে উপড়়ে যাওয়া গাছের ডালপালা রাস্তার পাশে জড়ো করে রাখা রয়েছে। তার ফলে রাস্তার পরিসর সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে জায়গায় জায়গায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধি মানায় যেমন কোনও প্রবণতা দেখা যায়নি, তেমনই মানানোর উদ্যোগও চোখে পড়েনি কোথাও। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ঠিক মতো না মানলে প্রবল বেগে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তার জেরে ফের জারি করতে হতে পারে কঠোরা লকডাউন। আশংকা করছেন অনেকেই।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশও এ দিন রাস্তায় ছিলেন না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে, ঝড়ে বিকল হয়ে যাওয়া বেশ কিছু সিগন্যাল এবং সিসি ক্যামেরা।
অনেক জায়গায় ক্যামেরা অকেজো থাকায় কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারিতে ঘাটতি হচ্ছে এবং জ্যাম সামলাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেরি হচ্ছে। তবে বাস চালু হলে ছোট গাড়়ি এবং বাইকের ভিড় কমবে বলেই আশা ট্রাফিক পুলিশের।আনলকডাউনের প্রথম দিন, দ্রুত ছন্দে ফেরার মরিয়া চেষ্টার কারণেই কার্যত ‘লকড’ হল শহর।
আরও পড়ুন: Unlock 1:কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কী কী ছাড় মিলবে, দেখে নিন এক নজরে