মদ্যপ অবস্থায় ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, যুবককে খুন করে দেহ পুঁতে দিল গৃহবধূ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ডায়মন্ডহারবার: ধর্ষণ রুখতে এক ব্যক্তিকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ মহিলার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকায়।সত্যি কি সম্ভ্রম বাঁচাতেই খুন, নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই রাত থেকেই নিঁখোজ ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দা তপন সাউ। পঁচিশ বছরের তপন। তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও হদিশ করতে পারেনি তপনের। খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৭ জুলাই সন্ধ্যায়। নিজেই থানায় চলে যায় ওই বধূ। পুলিশকে জানায়, তপনকে খুন করে বাড়ির পাশেই কলা বাগানে পুতে দিয়েছে সে।

রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তপনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বছর তিরিশের ওই মহিলা অনিতা মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন তাকে বিরক্ত করছিল। ওই দিন রাত ১টার সময় স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে হঠাৎ হাজির হয়। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন হাতের কাছে একটি লোহার রড পেয়ে, তাই দিয়েই তপণের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তপন। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অনিতার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতিও রয়েছে। এক বার তিনি বলেছেন, তাঁর ছ’বছরের মেয়ে কোয়েলকে মারার চেষ্টা করেছিল ওই তপন। তখন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। তবে গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, তপনের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। পুলিশ অনিতাকে গ্রেফতার করেছে। অনিতার স্বামী ফেরার। অনিতা স্বীকার না করলেও, পুলিশের অনুমান, খুনের পর দেহ লোপাটে সাহায্য করেছিল অনিতার স্বামী। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

যদিও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিহত যুবকের দাদা। তপন সাউয়ের দাদার পাল্টা অভিযোগ, পুরনো আক্রোশের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁর ভাইকে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest