ওয়েব ডেস্ক: মাহেশের রথযাত্রাতেও এবার করোনার থাবা। এবার আর রথে চড়বেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। শনিবার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী।
এবার ৬২৪ বছর পা দেওয়ার কথা মাহেশের রথযাত্রার। শনিবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছর দ্বিতীয় বৃহত্তম মাহেশের রথযাত্রা হবে না।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে খুলছে কী কী? রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা দেখে নিন এক ঝলকে
থে চড়বেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কেউই। স্নানযাত্রার ক্ষেত্রেও নিয়মে বদল করা হবে। মাঠের বদলে মন্দির প্রাঙ্গণেই হবে স্নানযাত্রা। কোনও পুণ্যার্থী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। থাকবেন শুধুমাত্র সেবায়েতরা।
মাসির বাড়ি পাঠানো হবে না জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। পরিবর্তে শুধুমাত্র নারায়ণ শিলাকে দেড় কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়িতে পাঠানো হবে। আবার শুক্লা দশমীতে নারায়ণ শিলা ফিরবে মন্দিরে।
যাওয়া এবং আসা দু’ক্ষেত্রেই খুব কম সংখ্যক সেবায়েত উপস্থিত থাকতে পারবেন। জগন্নাথ ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, “করোনার কথা মাথায় রেখে মানুষের জীবনের স্বার্থে রথযাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে।”
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে ১ জুন থেকে সমস্ত ধর্মস্থান খোলা হবে। নির্দিষ্ট সরকারি নিয়ম মেনে আগামী ১ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। তবে কোনওভাবেই দর্শনার্থীদের জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। পরিবর্তে অল্প সংখ্যক মানুষই পুজো দিতে পারবেন। প্রত্যেককেই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক।
আরও পড়ুন: মুজাফফরপুরে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ‘ছোট’ ঘটনা, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক