তিন দিন ট্রেনে জোটেনি খাবার- জল, মালদায় ট্রেন থেকে নেমে চিরঘুমে কিশোর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক:শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে অনাহারে থাকার পর বাড়ি পৌঁছে মৃত্যু হল এক কিশোর প্রবাসী শ্রমিকদের। নিহত পীযূষ দাসের (১৫) পরিবারের অভিযোগ এমনই। সোমবার রাতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। 

মুম্বইতে পাইপ লাইনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত সে। লকডাউনে কাজ হারায় পীযূষ। তারপর থেকে অনাহারেই দিন কাটছিল মুম্বইতে। শেষে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ধরে গত সপ্তাহে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না।

আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি, লকেটের জায়গায় অগ্নিমিত্রা, বড় দায়িত্বে সৌমিত্র খাঁ, ক্ষোভ দলের অন্দরে

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মাস ছয়েক আগে পরিবারের অনটন সামলাতে মুম্বই গিয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের মনোহরপুরের বাসিন্দা পীযূষ। মুম্বইয়ে কল মিস্ত্রীর সহকারী হিসাবে কাজ শুরু করে সে। কিন্তু লকডাউন শুরু হতে কাজ হারায়। গত সপ্তাহে বাড়ি ফিরতে মুম্বই থেকে ট্রেনে ওঠে সে। সোমবার মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছেই বারদুয়ারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চলে যায় সে। রাতে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে পীযূষ। 

সেখান থেকে তাকে প্রথমে মশালদা গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানে মৃত্যু হয় পীযূষের। কিশোর পরিযায়ী শ্রমিক পীযূষ দাসের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

জেলা পরিষদের শিশু-নারী ও ত্রাণ কর্মাদক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান, বাইরে থেকে যাঁরা বাংলায় ফিরছেন, তাঁদের ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের আরও গুরুত্ব নেওয়া উচিত। রেলের তরফে এদের খাবারের ব্যাপারে আরও সচেতন থাকা উচিত ছিল। কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতার জন্যই এত শ্রমিকের মৃত্যু ঘটছে বলে তোপ দাগেন তিনি। দাবি করেন, এর দায় কেন্দ্রকে নিতে হবে।কিশোর করোনায় আক্রান্ত কি না তা জানতে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট এলে দেহ হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন: ৮ জুন বাংলার জন্য ‘ভার্চুয়াল’ সভা অমিত শাহের, জেনে নিন কি কী কী থাকতে পারে ভাষণে

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest