নিজের বক্তব্যেই অনড় থাকছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকী তাঁর ‘বদলাও হবে, বদলও হবে’ স্লোগানের পর থেকে রাজ্যে অশান্তিও বেড়েছে। শনিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাতনে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু তাতেও যে দিলীপ ঘোষ নিজের অবস্থান থেকে নড়বেন না, রবিবার আরও একবার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন : সৌরভের পরিবারে করোনা থাবা আসলে গুজব! দিব্বি আছেন দাদা স্নেহাশিস
রবিবার ইকো পার্কে বিশ্ব যোগ দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি যুদ্ধ করে ভুল করেছিলেন? তাঁর কি উচিৎ ছিল, প্যান্ডেল খাটিয়ে রামকথা শোনানো? আসলে যারা কাপুরুষ, তারাই ক্ষমার কথা বলে।’ তাঁর সংযোজন, ‘হিংসা ছাড়া পৃথিবীতে কোনওদিন কোনও সমাধান হয়নি। হিংসার পালটা হিসেবে কেউ যদি মন্ত্র জপ করে, তাহলে লোকে তাকে নির্বোধ ও কাপুরুষ ভাববে।’
এদিন দিলীপ ঘোষ ফের টেনে এনেছেন ভারত-চিন সংঘাতের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘আজ যদি চিনকে হিন্দি-চিনি ভাই-ভাই বলি, তাহলে ওরা কি তা শুনবে? নাকি আমাদের ভারত মাতার আরও কিছুটা জায়গায় ছিনিয়ে নেবে?’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফ কথা, ‘যে যে ভাষায় কথা বোঝে, তাকে সে ভাষায় জবাব দেওয়া উচিত।’
বদলা নেওয়ার বার্তা দিয়েও বিজেপি রাজ্য সভাপতি নিজের দলেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশের সমর্থন পাননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দিলীপের মন্তব্য দলের ক্ষতি করবে বলে মত বিজেপির অনেকেরই।
তাছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে তাঁর ভাষার প্রয়োগও যথাযথ ছিল না। এতদিন পর্যন্ত গেরুয়া শিবির কথায় কথায় গভবন শ্রী রামচন্দকে প্রচারে ব্যাবহার করেছে। তা লোকের গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রেম ও ক্ষমার অন্যতম প্রতীক শ্রীকৃষ্ণকে তিনি শক্তির আধার হিসাবে দেখিয়েছেন। তা ক্ষমাপ্রবণ কৃষ্ণপ্রেমীদের অনুভূতিতে আগত করেছে।
আরও পড়ুন : চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদ, কলকাতার চিনা মহল্লায় উঠল ‘ভারত মাতা কী জয়’