এবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (Nobel literature prize) পেলেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আব্দুলরাজাক গুরনাহ । বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর নাম ঘোষণা করল নোবেল (Nobel) কমিটি। ‘প্যারাডাইস’, ‘ডিসার্শন’, ‘বাই দ্য সি’র মতো উপন্যাসের লেখক সত্তরোর্ধ্ব গুর্নাহর কলমে বরাবরই ধরা পড়েছে ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও শরণার্থী জীবনের সংকটের খতিয়ান।
আব্দুলরজাকের জন্ম পূর্ব আফ্রিকার জাঞ্জিবারে, ১৯৪৮ সালে। ১৯৬০-এর দশকে তিনি উদ্বাস্তু হিসেবে ইংল্যান্ডে উপস্থিত হন। ১৯৬৩-তে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে জাঞ্জিবার মুক্ত হয়। কিন্তু সেই সময় সে দেশে শুরু হয় আরব-বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে অত্যাচার এবং গণহত্যা। আব্দুলরজাক ও তাঁর পরিবার আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে পড়লে তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। ১৯৮৪ সালের আগে তিনি আর স্বভূমিতে ফিরে যেতে পারেননি।
#NobelPrize laureate Abdulrazak Gurnah’s dedication to truth and his aversion to simplification are striking. His novels recoil from stereotypical descriptions and open our gaze to a culturally diversified East Africa unfamiliar to many in other parts of the world. pic.twitter.com/FVmk5cvomI
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 7, 2021
তবে ইংরেজি সাহিত্যের মূলধারার চেনা ছক থেকে বেরিয়ে এসে উপনিবেশ-উত্তর চৈতন্যকে তুলে ধরাকেই প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে মনে করেন আব্দুলরজাক। ব্রিটেনের নাগরিক হলেও ফেলে আসা জীবন ও দু’টি ভিন্ন মহাদেশের সাংস্কৃতিক বিভিন্নতা তাঁর লেখার মধ্যে ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের চেনা ছাঁদের বাইরে বেরিয়ে তাঁর সত্যনিষ্ঠ আপসহীন ও সহানুভূতিপূর্ণ কলমে ঔপনিবেশিকতার দুর্দশা ও শরণার্থীদের সংগ্রামের ছবি ফুটে উঠেছে। এবার সেই কলমকেই স্বীকৃতি নোবেল কমিটির।
১৯৯৪ সালে তাঁর উপন্যাস ‘প্যারাডাইস’ বুকার ও হুইটব্রেড পুরস্কারের জন্য শর্টলিস্টেড হয়। পরে ‘বাই দ্য সি’ (২০০১) ও ‘ডেসার্শন’ (২০০৫) উপন্যাস দু’টি বুকারের জন্য লংলিস্টেড হয়। ওই দু’টিই আবার শর্টলিস্টেড হয় ‘লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস বুক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য। এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলেন বিশ্বখ্যাত এই সাহিত্যিক। এখনও পর্যন্ত ১০টি উপন্যাস লিখেছেন তিনি। গল্প সংকলন রয়েছে একটি।