আজ গুরু নানকের জন্মোত্সব পালন হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ গুরু নানকের অমূল্য বাণী ও তাঁর আধ্মাত্মিক জীবনকে স্মরণ করছেন। আসলে গুরু তো তিনিই, যিনি অন্ধকার থেকে টেনে তোলেন। জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখিয়ে দেন। পবিত্র ও সত্ ভাবে বাঁচার প্রেরণা দেন। প্রকৃতি গুরুর মতোই গুরু নানকও শিখিয়েছিলেন কী ভাবে বদ্ধ সংসারেও মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর সেই বাণী, ‘ঈশ্বর আর মানুষ আলাদা নয়। মানুষকে ভালোবাসলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।’ আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে গুরু নানকের সেই বাণীর কয়েকটি মেনে চললেই সংসার জীবনে আনন্দে থাকবেন আপনি।
১. যাঁর নিজের উপরে কোনও বিশ্বাস নেই, তিনি ভগবানকে কী করে বিশ্বাস করবেন!
২. তোমার কথা শুনে অন্যরা যেন তোমাকে সম্মান করতে পারে, এমন কথাই সব সময় বোলো।
৩. ঈশ্বর একজনই, আর তাঁর নাম সত্য। তিনিই জগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি কাউকে ভয় পান না, কাউকে ঘৃণা করেন না। তিনি জাগতিক জন্ম-মৃত্যুর ঊর্দ্ধে। তিনি স্বীয় দীপ্তিতে আলোকিত হন। একমাত্র প্রকৃত গুরুই তোমাকে তাঁর সন্ধান দিতে পারবেন। এই ঈশ্বর সৃষ্টির শুরুতেও প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং আগামী দিনেও তাঁর প্রাসঙ্গিকতা একটুও কমবে না।
৪. আপনাকে যদি কেউ সত্যি ভালবাসে, জানবেন আপনি ঈশ্বরের সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন।
৫. পৃথিবী আসলে একটি নাট্যমঞ্চ আর আমরা সকলে স্বপ্নের মধ্যে এখানে অভিনয় করে চলেছি।
৬. মাংস খাওয়া উচিত নাকি সবজি, এসব নিয়ে মূর্খেরা তর্ক করে! কোনটি মাংস এবং কোনটি সবজি, সেটি কে ঠিক করে দিয়েছে? আর কোনটি খেলে পাপ হবে, সেটাই বা আসলে কে জানে!
৭. যদি মৃত্যুর প্রকৃত অর্থ সত্যিই কেউ জানতে পারে, তা হলে সে আর মৃত্যুকে ভয় পাবে না।
৮. যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।
৯. যে সব মানুষকে একই মনে করে, সে-ই প্রকৃত ঈশ্বরবিশ্বাসী।
১০. ঈশ্বর তোমাকে যে ধনসম্পত্তি দিয়েছেন, তা যদি তুমি শুধু নিজের বলেই আগলে রাখো, তা হলে তা একটি শবের চেয়েও পূতিগন্ধময়। কিন্তু যদি তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নাও, তা হলে তা পবিত্র প্রসাদের চেয়েও বেশি পুণ্য বলে ধরা হবে।