The News Nest: দাদুর রক্তাক্ত ও নিথর দেহের সামনে বসে আছে ছোট্ট নাতি। ভয়ে, আতঙ্কে মুখ শুকিয়ে গিয়েছে তার। কাঁদতেও যেন ভুলে গেছে সে। এমনই এক ছবি সামনে এল বুধবার সকালে কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার সোপোরে জঙ্গিহানার পরে। শিশুটিকে পরে উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা।
আজ সাতসকালে সোপোরে জঙ্গিহানার মুখে পড়ে সিআরপিএফের টহল-ভ্যানে। গুলি লেগে এক সেনা শহিদ হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয়েছেন এক সাধারণ মানুষও। ঘটনাস্থলেই একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন তিনি। আশ্চর্যজনক ভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ওই ভদ্রলোকের তিন বছরের নাতি। ওই একই গাড়িতে দাদুর সঙ্গে সওয়ার ছিল সেও। দাদুর মৃতদেহের পাশে তাকেই বসে থাকতে দেখা যায় এদিন।
আরও পড়ুন : কি বিপত্তি ! মেথি ভেবে রান্নায় গাঁজার ফোড়ন, খেয়ে অসুস্থ ইউপির এক পরিবারের ৬
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওই ব্যক্তি এদিন সকালে বাচ্চাটিকে নিয়ে মারুতি গাড়িতে করে শ্রীনগর থেকে হান্দওয়ারা যাচ্ছিলেন। শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার যাওয়ার পরে বারামুল্লার সোপোর পার করার সময়ে জঙ্গিহানর মুখে পড়ে যান তিনি। একটি বুলেট এসে লাগে তাঁর গায়ে। গাড়ির ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
সোপোরে যে সিআরপিএফ বাহিনী টহল দিচ্ছিল, তাদের গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাবও দেওয়া হয়, কিন্তু জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। এক জওয়ানের গুলি লাগে, ঘটনাস্থলেই শহিদ হন তিনি। তিন জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
গত সপ্তাহেই অনন্তনাগে সিআরপিএফ বাহিনীর উপর হামলা চালাতে গিয়ে ৬ বছরের এক কাশ্মীরি শিশুকে খুন করে জঙ্গিরা। দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ভিতরে ঘুমোচ্ছিল নিহান ভাট। বাইকে করে ছুটে এসে সিআরপিএফ ভ্যানে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা, শহিদ হন এক জওয়ান। গুলি ছিটকে এসে লাগে ওই শিশুর গায়েও, মারা যায় সে।
তাহলে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কি লাভ হল, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাদের দাবি আগেও তো কেই জিনিস হত। এখন তো কেন্দ্রের শাসনে কাশ্মীর। তাহলে পরিস্থিতি স্বভাবিক হচ্ছে না কেন। সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যত আর অস্তিত্ব নেই। সেনার করা শাসনে রয়েছে কাশ্মীর। তারপর এত জঙ্গি মিলছে কিভাবে? পাকিস্তানই বা কেমন করে সফল হচ্ছে? ভক্ত ছাড়া বহু মানুষের প্রশ্ন এমনই। দেশের আমি জনতা মনে করছিল ৩৭০ প্রত্যাহার হলে বুঝি সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন তাদের অনেকেরই বডি ল্যাংগুয়েজ বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা থেকে সুস্থ হওয়া পর কাওয়াসাকি ডিজিজে বহু শিশু !