নয়াদিল্লি: রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত মত লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ের মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে স্পেশাল রাজধানী রেলপরিষেবা। যদিও এক্ষেত্রে খাওয়ার এবং গায়ে দেওয়ার চাদর এবং কম্বল যাত্রীদেরকেই বহন করতে হবে। আজ বিকেল ৪টে থেকেই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে।
তবে বুকিং নিশ্চিত হলে বৈধ টিকিট নিয়ে প্ল্যাটফর্মে আসার পর যাত্রীদের একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।রেলমন্ত্রক প্রত্যেক যাত্রীর বাধ্যতামূলক স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা করবে। উপসর্গবিহীন হলে, তবেই যাত্রীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে। স্টেশনে ও কোচে সব যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর সংশ্লিষ্ট রাজ্যের যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে তা মানতে বাধ্য থাকবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: বীর্যেও মিলল করোনার উপস্থিতি! সঙ্গমেও কি তাহলে ছড়াতে পারে ভাইরাস?
ট্রেনের নাম রাজধানী হলেও সেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না রেলের পক্ষ থেকে। দুপুরের কিংবা রাতের খাওয়ারের বন্দোবস্ত করতে হবে যাত্রীদেরই। তবে যাত্রীরা চাইলে ক্যাটারিং স্টাফদের থেকে প্রি প্যাকেড স্ন্যাকস, বিস্কুট কিনে নিতে পারবেন। এটা অনেকটাই বিমানে যেরকম পরিষেবা দেওয়া হয় তেমন। তবে এক এক দিকের ট্রেনের এক এক রকম ভাড়া হবে।
এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে জানা গিয়েছে যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে যেভাবে দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই রাজধানী ট্রেনে তা হবে না। যেরকম সিটের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনভাবেই পুরো যাত্রী নিয়েই ছাড়বে ট্রেন। এমনকী কোনও ওয়েটিং লিস্টও রাখা হবে না। মূলত সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই রেলের তরফে এসি কোচে কোনও বালিশ, চাদর, কম্বল দেওয়া হবে না। এমনকী ট্রেনের টয়লেট পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। যেহেতু সমস্ত হাউসকিপিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে তাই ট্রেনের বাথরুম পরিস্কার করার কাজটিও করা হবে না।
২৫ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম কয়েকটি ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করে সরকার। দিল্লি থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ১৫টি ট্রেন ছাড়বে মঙ্গলবার। সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার বুকিং। সাত দিনের আগাম বুকিং করা যাবে। তবে আপাতত কোনও RAC বা ওয়েটিং লিস্ট রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে বানিয়ে ফেলুন ভূতের সিনেমা, সেরা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করবেন SRK!