40 পয়সার এই অ্যান্টাসিডই করোনার ওষুধ? পর্যাপ্ত জোগান রাখতে তোড়জোড় মোদী সরকারের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় কি তগবে এবার ভরসা যোগাবে ৪০ পয়সার ফেমোটিডিন অ্যান্টাসিড?এখন এই প্রশ্নেরই সঠিক জবাবের খোঁজ চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।ইতিমধ্যে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই অ্যান্টাসিডের জোগান ও উৎপাদন ক্ষমতার বিষয়ে ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা এবং জাতীয় ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির কাছে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

করোনার ওষুধ নেই গোটা বিশ্বে। গোলমরিচ থেকে আদা, নানা টোটকা ছড়িয়েছে হোয়াটসআপ ইউনিভার্সিটিতে। প্যারাসিটামল থেকে হাইড্রোকসিক্লোরোকুইনিন, বাদ যায়নি কিছুই। প্লাজমা থেরাপিও চলছে। কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে এটাই করোনার ওষুধ।

নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন প্রায় 187 জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসায় ফেমোটিডিন অ্যান্টাসিড-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হচ্ছে বলে খবর। গত ৭ এপ্রিল থেকে করোনা চিকিৎসায় এই অ্যান্টাসিড-এর কার্যকারিতা বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনও পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কোন‌ও রেজাল্টে পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসকের মতে এখন‌ও এটির কার্যকারিতার কোন‌ও সঠিক প্রমাণ মেলেনি।

আরও পড়ুন: মোদীর সাবধানবাণী তোয়াক্কা না করে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য তবলিগকেই দুষলেন যোগী

তবে নিউ ইয়র্কে প্রথম নয় এর আগে ফেমোটিডিন অ্যান্টাসিড-এর ব্যবহার করে চিনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। লাস ভেগাস রিভিউ জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনা প্রেসক্রিপশনে এই ধরণের অ্যান্টাসিড খাওয়া অনুচিত। “এটির মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আটকানো যাবে এমনটাও নয়,” প্রতিবেদনে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক।

তবে সেদিকে কান না দিয়ে ইতিমধ্যেই সে দেশে ফেমোটিডিন-যুক্ত অ্যান্টাসিড কিনতে শুরু করেছেন অনেকেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ফেমোটিডিন-এর বিষয়ে জানাজানি হতেই বেশ কিছু ওষুধের দোকানে অ্যান্টাসিড কেনার হিড়িক পড়ে যায় মার্কিনীদের মধ্য। বিভিন্ন ওষুধের দোকানেই শেষ হয়ে যায় অ্যান্টাসিড। তবে এর ফলে যে হিতে বিপরীত হতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। “পরীক্ষা চলছে, রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক ভাবে কিছু বলা উচিত নয়,” জানালেন এক বিশেষজ্ঞ।

মোদী সরকারও ভারতীয় জনৌষধী পরিযোজনা সহ বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ফ্যামোটিডিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি রাখারও নির্দেশ দিয়েছে৷ National Pharmaceutical Pricing Authority-কে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, এই অ্যান্টাসিডের পর্যাপ্ত জোগানের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে৷

আরও পড়ুন: তিনবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন শামি, জেনে নিন কারণ

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest