নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা, করোভাইরাস ঠেকাতে নাকি আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে মহামারীর চেয়েও বিশ্বব্যাপী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। প্রতিরোধের উপায় খুঁজছে সব দেশ। COVID-19 নিয়ে ভয়াবহ উদ্বেগের মধ্যেই ছড়িয়েছে একাধিক ভুয়ো খবর। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খোঁজ মিলছে বিভিন্ন দাবির। সম্প্রতি ভাইরাল এমনই এক দাবি, আইসক্রিম খেলে হতে পারে করোনা-সংক্রমণ।
করোনা সংক্রান্ত একাধিক মিথের মতোই দাবি আইসক্রিম খেলে করোনা হবে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে আইসক্রিমের কোনও সম্পর্ক নেই। আইসক্রিম খেলে করোনাভাইরাস হয় না। এই মরশুমে আইসক্রিম থেকে ঠান্ডা লেগে হাঁচি-কাশি হওয়া স্বাভাবিক। তবে এর থেকে COVID-19-এর জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: স্বস্তি বাংলার, করোনা আক্রান্তের বাবা-মা এবং ড্রাইভারের শরীরে মেলেনি ভাইরাস
কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)-র এক টুইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মতামতের পর করোনা সংক্রান্ত মিথ সম্পর্কে সঠিক তথ্য় জানানো হচ্ছে এই টুইটার অ্যাকাউন্টের তরফে।বর্তমানে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে, তার সঙ্গে আইসক্রিমের কোনওরকম সম্পর্ক থাকার প্রমাণ মেলেনি। ফলে আইসক্রিম এড়ালে করোনা আটকানো যাবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা মোটেই ঠিক নয়। আবার আর একটি বার্তা হোয়াটঅ্যাপে ছড়িয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, গরম জলে ভিনিগার আর নুন মিশিয়ে পান আর গার্গল করলে করোনা ঠেকানো যাবে। এটাও ঠিক নয় বলে জানিয়েছে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক।
Another misinformation urging people to avoid ice creams to prevent #Coronavirus is #Fake. #PIBFactCheck: There is no evidence from the current #CoronavirusOutbreak which states that avoiding ice cream can help prevent the onset of the disease. pic.twitter.com/OhlhGc33xf
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) March 16, 2020
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ! বিমানের কমোড চাটলেন টিকটক স্টার
আর শুনুন, ফেস মাস্ক পরলেই যে করোনা ঠেকানো যাবেই, তারও কোনও গ্যারান্টি নেই। চোখ দিয়ে তো বটেই, ছোট্ট ছোট্ট কণাও মাস্কের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে পারে। তবে করোনা মূলত ছড়াচ্ছে সর্দি আর হাঁচি কাশি থেকে, তাই কেউ যদি সামনে হেঁচে ফেলে, তবে মুখে মাস্ক থাকলে আপনি কিছুটা নিরাপদ। আর একেবারে খোলামেলা থেকে করোনাকে নেমন্তন্ন করার থেকে তো কিছুটা আবরণ থাকা ভাল! করোনা আক্রান্ত কারও যদি সংস্পর্শে আসেন, তবে মাস্ক পরে থাকলে আপনার শরীরে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। আর নিজে যদি করোনায় আক্রনান্ত হন বা সম্ভাবনা থাকে, তবে মাস্ক পরলে অন্যদের শরীরে সংক্রমণ হবে না।