The invincible defendant face is Mahasweta Devi

Mahasweta Devi: অপরাজেয় প্রতিবাদী মুখ মহাশ্বেতা দেবী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মহাশ্বেতা দেবী প্রতিদিনের বিপ্লবী। শ্রেণি সংগ্রাম তিনি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন ভদ্রলোকদের চোখের অন্ধকারে মিশে থাকা অযুত আরণ্যক মানুষের প্রাণ থেকে প্রান্তরে। আজীবন সংগ্রামী চিন্তা চর্চা করেছেন এবং দেশ ও মানুষ সব ধরনের শোষণমুক্ত হবে সেই লক্ষ্যে সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি সরাসরি সে আদর্শ লালন করতেন, যে আদর্শের ছবি পাওয়া যায় তার সাহিত্য ও জীবনচর্চায়।

মহাশ্বেতা দেবী বাংলা সাহিত্যের একটি দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন বিষয়ের বহুমাত্রিকতা এবং দেশজ আখ্যানের অনুসন্ধান ক’রে। তার সেই খুঁজে ফেরা আখ্যানে তিনি সৃষ্টি করতে পেরেছেন ব্যতিক্রমী জনপদের সাহিত্য। যে সাহিত্য কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর জন্য কেবল মাত্র সাহিত্য হয়ে থাকে নি, হয়ে উঠেছে ইতিহাস ।

তিনি ইতিহাস থেকে, রাজনীতি থেকে যে সাহিত্য রচনা শুরু করেন, তা শোষিতের আখ্যান নয় বরং স্বদেশীয় প্রতিবাদী চরিত্রের সন্নিবেশ বলা যায়। প্রতিবাদী জীবন ও সাহিত্যের এক স্বতন্ত্র ঘরানার লেখক তিনি। সামাজিক দায়বোধ থেকেই তিনি তাঁর সেই উপেক্ষিত ইতিহাসের নায়কদের তুলে আনেন। এ প্রসঙ্গে তিনি অরণ্যের অধিকার উপন্যাসের ভূমিকায় বলেছিলেন—

লেখক হিসাবে, সমকালীন সামাজিক মানুষ হিসাবে, একজন বস্তুবাদী ঐতিহাসিকের সমস্ত দায় দায়িত্ব বহনে আমরা সর্বদাই অঙ্গীকারবদ্ধ। দায়িত্ব অস্বীকারের অপরাধ সমাজ কখনোই ক্ষমা করে না। আমার বিরসা-কেন্দ্রিক উপন্যাস সে অঙ্গীকারেরই ফলশ্রুতি।

মহাশ্বেতা দেবী আজীবন সংগ্রামী চিন্তা চর্চা করেছেন এবং দেশ ও মানুষ সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত হবে সেই লক্ষ্যে সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী নন কিংবা বিপ্লবী ধ্বজাধারী কোনো নেতাও নন। তাঁর সংগ্রাম চলেছে সাহিত্যচর্চা এবং জীবনচর্চার মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: World Book Day: আরও বেশি যত্নে থাকুক প্রিয় বইগুলো

মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম ১৪ জানুয়ারি ১৯২৬ সালে বাংলাদেশের এক খ্যাতনামা পরিবারে। তাঁর বাবা মনীশ ঘটক বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং কাকা ঋত্বিক ঘটক ভারতের চলচ্চিত্রের এক ব্যতিক্রমী প্রতিভার শ্রদ্ধেয়জন। মহাশ্বেতা দেবী ঢাকার ইডেন স্কুলের মন্টেসরিতে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে মেদেনীপুরে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩৬ সালে তিনি পড়াশোনা করতে শান্তিনিকেতনে যান। এ সময় মাত্র দুই বছর শান্তিনিকেতনে কাটালেও তা ছিল তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য সময়। তখনই তাঁর লেখালেখির শুরু। ১৯৩৯ সালে তিনি যখন অস্টম শ্রেণিতে পড়েন, তখন খগেন্দ্রনাথ সেন সম্পাদিত ‘রংমশাল’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর রবীন্দ্রনাথ-সম্পর্কিত রচনা ‘ছেলেবেলা’। ১৯৩৯ সালে তিনি কলকাতায় চলে আসেন সেখান থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে ১৯৪২ সালে আশুতোষ কলেজে ভর্তি হন।

১৯৪৩-এ পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময় মহাশ্বেতা দেবী প্রথম বর্ষে পড়েন এবং কম্যুনিস্ট পার্টির ছাত্রী সংগঠন ‘Girls’ Student Association এবং দুর্ভিক্ষ ত্রাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি কম্যুনিস্ট পার্টির মিটিংয়ে যোগ দিতেন, পার্টির মুখপত্র ‘People’s War’, ‘জনযুদ্ধ’ বিক্রি করতেন এবং সে পত্রিকার নিয়মিত পাঠকও ছিলেন। তবে পার্টির মেম্বার না হয়ে এভাবেই কম্যুনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত তখন থেকেই তাঁর কর্মীসত্তার বিকাশ, যা পরবর্তীকালে তাঁর জীবনে আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ১৯৪৪ সালে মহাশ্বেতা ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে, বিএ পড়তে। ১৯৪৬ সালে আবার কলকাতায় ফিরে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে এম. এ ভর্তি হন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখন তাঁর পড়াশোনা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট নাট্যকার এবং কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসার জীবন ছিল দারিদ্র্যে পরিবেষ্টিত—এ সময় মহাশ্বেতা দেবী রঙ সাবান, রঙের গুঁড় ফেরি করেন, ছাত্র পড়ানো শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে তাঁর একমাত্র পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্য়ের জন্ম হয়। তাদের সংসার জীবন পনের বছরের বেশি টেকে নি। তবে মহাশ্বেতা দেবী নিজেই পরবর্তীতে বিজয় ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলেন—

Bijan has shaped my talent and given it permanent form. He has made me into what I am today.

তিনি সুমিত্রা দেবী ছদ্মনামে ‘সচিত্র ভারত’ পত্রিকায় ফিচার এবং গল্প লেখা শুরু করেন। যদিও ১৯৪৯ সালে ইনকাম ট্যাক্সে কেরানির চাকরি পান, কিন্তু সে চাকরি তাঁর করা হয়ে ওঠে না। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে পোস্টাল অডিটে আপার ডিভিশন ক্লার্কের চাকরি নেন। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক সন্দেহে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন, পরবর্তীকালে পুনর্বার চাকরিতে বহাল হলেও তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সরকারি চাকরিতে ফেরেন নি।

দীর্ঘ পড়াশোনা বিরতির পর ১৯৬৩ সালে তিনি প্রাইভেটে ইংরেজিতে এম. এ পাশ করেন এবং ১৯৬৪ সালে তিনি ইংরেজি অধ্যাপনায় প্রবেশ করেন বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে। ইতোমধ্যে তাঁর প্রথম বই ঝাঁসীর রানী (১৯৫৬) প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে তিনি লেখাকেই পেশা হিশেবে গ্রহণ করেন। ইতিহাস তাঁর সাহিত্যজীবনে সব সময়ই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। তিনি মনে করতেন ইতিহাসের মুখ্য কাজই হচ্ছে একই সঙ্গে বাইরের গোলমাল, সংগ্রাম ও সমারোহের আবর্জনা এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জনবৃত্তকে অন্বেষণ করা, অর্থ ও তাৎপর্য দেওয়া। এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে সমাজনীতি ও অর্থনীতি, যার মানেই হলো লোকাচার, লোকসংস্কৃতি, লৌকিক জীবনব্যবস্থা। তাঁর প্রথমদিকের সাহিত্যকর্মে এই প্রয়াস দেখতে পাই। তিনি ঐতিহাসিক পটভূমিকায় খুদাবক্স ও মোতির প্রেমের কাহিনি নিয়ে ১৯৫৬ সালে নটী উপন্যাসটি লিখেন। এছাড়া প্রথম পর্যায়ে তিনি লোকায়ত নৃত্য-সংগীতশিল্পীদের নিয়ে লিখেছেন মধুরে মধুর (১৯৫৮), সার্কাসের শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় জীবন নিয়ে লিখেন প্রেমতারা (১৯৫৯)। এছাড়া যমুনা কী তীর (১৯৫৮), তিমির লগন (১৯৫৯), রূপরাখা (১৯৬০), বায়োস্কোপের বাক্স (১৯৬৪) প্রভৃতি উপন্যাস। মহাশ্বেতা দেবী নিজের লেখা সম্পর্কে নিজেই সমালোচক হয়ে উঠেছেন কখনও কখনও। ইতিহাসচর্চা আর সমাজ-সচেতনতায় দৃঢ় হয়ে উঠেন বলেই যেন তাঁর প্রথম পর্বের দুটো উপন্যাস তিমিরলগন ও রূপরাখা-তে ব্যক্তির সুখ-দুঃখ যখন কোনো সামাজিক তাৎপর্য বহন করে না বলে মনে করেছেন, তখন তিনি এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন—ওই বই দুটো আর ছাপবেন না। আবার অন্যদিকে গভীর সামাজিক তাৎপর্য থাকার জন্য, প্রথম প্রকাশের কুড়ি বছর পরেও ‘বিষয়বস্তুর চিরকালীনতা ও প্রয়োজনীয়তা আজও’ রয়েছে বলে মহাশ্বেতা দেবী মনে করেন, ‘মধুরে মধুর’…আজকের পাঠকের কাছে বইটি থাকা দরকার। দু-অর্থে। আমার লেখার বিবর্তনের সাক্ষ্যে এবং ব্যক্তি সংগ্রামের যাথার্থ্যে।’

১৯৬২ সালে বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সংসার ভেঙে গেলেও ছেলের জন্য খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সে সময় তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের চেষ্টায় সে যাত্রা বেঁচে যান। এরপর তিনি অসিত গুপ্তকে বিয়ে করেন ১৯৬৫ সালে, কিন্তু সেই সংসারও ১৯৭৬ সালে ভেঙে যায় । তাঁর পরিবর্তিত জীবনের সাথে সাথে তাঁর সাহিত্যকর্মেও যে পরিবর্তন এসেছিল, এ প্রসঙ্গে মহাশ্বেতা দেবী জীবন ও দর্শন নিয়ে কল্যাণ মৈত্রের সাথে আলাপচারিতায় সেই সন্ধিক্ষণকে কাটিয়ে ওঠা প্রসঙ্গে বলেন—

স্রেফ লিখে। হাজার চুরাশির মা লিখেছিলাম সে সময়ে। উপন্যাসটা পড়লে বোঝা যাবে। ওই সময় আমি অসম্ভব ঘুরে বেড়াতে লাগলাম—তার একমাত্র কারণ ছিল এটাই। মনের একটা কষ্টকে চাপতে চেষ্টা করছি। হয়তো এটাই আমার জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট। সেই সময়ে দিনে চৌদ্দ-পনের ঘণ্টা কাজ করেছি।…এদিকে আমি কোয়ালিটি রাইটিং-এর দিকে মন দিলাম অন্যদিকে আদিবাসীদের মধ্যে কাজ শুরু করলাম। এই দিকটা অবশ্যই আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করতে শুরু করেছিল। একটা না দেখা ওয়ার্ল্ড, কেউ জানে না, বোঝে না—তার সমস্ত অনুভূতিগুলি ক্ষোভ-দুঃখগুলি আমার লেখার সঙ্গে খুব মিশে যাচ্ছিল।

এরপর তিনি ষাটের দশকের মাঝামাঝি এসে যে উপন্যাসগুলো লিখেন, তাকে তাঁর দ্বিতীয় পর্বের সাহিত্যকর্ম বলা যেতে পারে। এ সময় তিনি আলোচিত কিছু উপন্যাস লিখেন। এগুলোর মধ্যে আঁধার মানিক (১৯৬৬), কবি বন্দ্যঘটি গাঞির জীবন ও মৃত্যু (১৯৬৬), হাজার চুরাশির মা (১৯৭৪) উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে তিনি রাজনৈতিক চেতনার এবং ইতিহাস-আশ্রিত কাহিনি যেমন লিখেছেন, তেমনি তাঁর আদিবাসীকেন্দ্রিক উপন্যাসের সূচনাও ঘটে এ সময়। হাজার চুরাশির মা এ সময়ে লেখা তাঁর সবচেয়ে আলোচিত উপন্যাস হলেও কবি বন্দ্যঘটি গাঞির জীবন ও মৃত্যু উপন্যাসটি একটি ব্যতিক্রমী উপন্যাস এবং আদিবাসী জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাসের শুরুও এ উপন্যাস থেকে বলা যায়।

মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাসে রাজনীতি এসেছে পূর্ণ-অবয়বে, যেখানে তিনি রাজনৈতিক অন্ধকার দিকগুলোকেও উপন্যাসের শৈলীতে নিয়ে এসেছেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক উপন্যাস হাজার চুরাশির মা (১৯৭৪), এই উপন্যাসকে তাঁর সাহিত্যের বাঁক পরিবর্তনের সূচনা বলে মনে করা হয়। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সাহিত্য ও দর্শনের নতুন সত্তার প্রকাশ ঘটে। ঘরে ফেরা (১৯৭৯) উপন্যাটিও রাজনৈতিক অন্তুর্বিশ্লেষণের ভিন্ন প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাঁর ছোটগল্পেও এই ভাবধারা প্রকাশ ঘটেছে।

মহাশ্বেতা দেবী মনে করেন সাহিত্যে শুধু হৃদয়-গ্রাহ্যতা নয়, মস্তিষ্ক-গ্রাহ্যতাও চাই। তিনি আরও জানান পাঠক-সমালোচককে আজ এ কথা বুঝতে হবে যে আমি যা-যা লিখেছি তার মধ্য দিয়ে এটাই বলতে চেয়েছি যে, যা-যা ঘটেছে তা শুধু আজই ঘটছে না, চিরকালই ঘটে আসছে। তাঁর মতে লেখকের কাজ হলো ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সেই ঘটনাবলিকে স্থাপন করা। তিনি প্রায়শ যে কথাটি বলে থাকেন তা হলো—তিনি ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধ।

এ কথা নিঃসন্দেহে স্বীকৃত যে বাংলা সাহিত্যে এক ম্যারাথন লেখক মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর সাহিত্যকর্ম ইংরেজি, জার্মান, জাপানি, ফরাসি এবং ইতালীয় ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো বই ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে; যেমন—হিন্দি, অসমীয়া, তেলেগু, গুজরাটি, মারাঠি, মালয়লামি, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া এবং আদিবাসী হো ভাষা। ১৯৭৯ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান অরণ্যের অধিকার উপন্যাসটির জন্য। ভুবনমোহিনী দেবী পদক, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য স্বর্ণপদক, ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মশ্রী’ পদক পান। এছাড়া জগত্তারিণী পুরস্কার, বিভূতিভূষণ স্মৃতি সংসদ পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত লীলা পুরস্কারও লাভ করেন।

১৯৯৭ সালে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান আদিবাসীদের মাঝে কাজ করার জন্য। ১৯৯৮ সালে সাম্মানিক ডক্টরেট রবীন্দ্রভারতী অর্জন করেন। ভারতীয় ভাষা পরিষদ সম্মাননা ২০০১ সালে অর্জনসহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত হয়েছেন মহাশ্বেতা দেবী। তিনি কলকাতা আকাদেমির প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সে পদ ছেড়েও দেন। বিগত কয়েক সাল ধরে নোবেল পুরস্কারের জন্য সাহিত্যিকদের তালিকায় ওঠে এসেছে মহাশ্বেতা দেবীর নাম। সেই পুরস্কার না পেয়েই একানব্বই বছর বয়সে গত ২৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সমৃদ্ধ করে গেলেন বিশ্বসাহিত্যকে, তাঁর বিপুল সাহিত্যকর্ম দিয়ে।

আরও পড়ুন: Humayun Ahmed: জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের সেরা ৫ উপন্যাস

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest