Site icon The News Nest

Stiff Neck: একটানা কাজ করার পর হঠাৎ ঘাড় শক্ত হলে কী কী করবেন?

Stiff Neck

ঘাড় বেশি সময় বাঁকা করে শোওয়া বা অন্য কাজ করা, ভুল ভঙ্গিতে কোন কাজে আটকে থাকা, একভাবে টিভি কম্পিউটার দেখা বা বই পড়া, হঠাৎ কোন আঘাত, ঘাড় ও কাঁধের মাঝে ফোন রেখে অনেকেই অনেক্ষণ কথা বলা এরকম কারণগুলোতে পেশিতে টান লাগতে পারে। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে যেগুলি আপনার করা উচিত, সেগুলি একঝলকে দেখে নিন…

টানা কাজ করলে, ব্রেক নিন

একটানা ডেস্কে বসে কাজ বা কম্পিউটারে চোখ রেখে কাজ করলে ঘাড়, পিঠে ব্যাথা হতে শুরু করে ঘাড় বেশি সময় বাঁকা করে শোয়া বা অন্য কাজ করা, ভুল ভঙ্গিতে কোন কাজে আটকে থাকা, একভাবে টিভি কম্পিউটার দেখা বা বই পড়া, হঠাৎ কোন আঘাত, ঘাড় ও কাঁধের মাঝে ফোন রেখে অনেকেই অনেক্ষণ কথা বলা এরকম কারণগুলোতে পেশিতে টান লাগতে পারে। টাইপিং বা লেখার কাজ থাকলে ঘাড়, পিঠের পাশাপাশি হাতেও টান ধরতে শুরু করে। একঘন্টা কাজ করার পর ২ মিনিট ব্রেক নিন।সেই সময় ওয়ার্কপ্লেসে বা বাড়িতে সামান্য পরিমাণ হেঁটে আসুন। জল খান, কিছু স্ট্রেচেস করতে পারেন। বেশিরভাগ চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডিং ডেস্ক হল সবসময় কাজ করার ক্ষেত্রে ভাল। দাঁড়িয়ে কাজ করলে ৪০-৯০ শতাংশ ভার মেরুদণ্ডের উপর পড়ে। তাছাড়া গলা ও ঘাড় তুলনামূলক সুস্থ থাকে।

আরও পড়ুন: দই কি মানসিক চাপও কমাতে পারে ? জেনে নিন?

স্ট্রেচিং

পেশিতে টান পড়লে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। একটানা কাজ করার ফলে যদি ঘাড়ে ব্যাথা বা অস্বস্তি তৈরি হয়, তবে কিছু নেক রোলস বা যোগা করার চেষ্টা করতে পারেন। স্ট্রেচিং হল ঘাড়ের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই। মাথা, ঘাড়, গলা সমানভাবে স্ট্রেচিং করার জন্য কিছু যোগা রয়েছে, সেগুলি করতে পারেন। কাঁধ কানের পাশে উঠিয়ে ১০ বার করে ঘড়ির দিকে ও ঘড়ির বিপরীত দিক করে ঘোরাতে পারেন, হাত উপরের দিকে তুলে ঘড়ির দিকে ও ঘড়ির বিপরীত দিকে ঘোরাতে পারেন। নেক রোলসও করতে পারেন।

গরম ভাব নেওয়া- একটানা কাজ করার পর ঘাড় ও মাথায়র সংযোগস্থলে বেশ ব্যাথা অনুভব হয়। ঘাড় শক্ত হতে গিয়ে নড়াচড়াও প্রায় কঠিন হয়ে যায়। এমনটা হলে বারে বারে ঘাড়ে গরম জলের ভাব নিলে উপকার মেলে। গরম ভাব যে কোনও সমস্যার প্রাথমিক সমাধান। পেশিগুলিকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে হটব্যাগ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

সঠিক পজিশনে শোওয়ার অভ্যেস করুন-

ঘাড় বেশি সময় বাঁকা করে শোওয়ার দোষে, ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যায় । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘাড়ের ব্যাথা ও শক্তি হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও বেড়ে যায়। ভুল বালিশ নিলে, শোওয়ার ভঙ্গির কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়। তাই ঘাড়, গলা, কোমড়ের ব্যথা বাড়লে পেটের কাছে একটি বালিশ, পেলভিশে, কোমড়ের নীচে ও হাঁটুর নীচে বালিশ রেখে ঘুমালে শরীর সুস্থ থাকে। প্রেগন্যান্সি পিলো ব্যবহার করেন অনেকেই।

সেল্ফ মাসাজ- স্ট্রেচিং করৃতে অসুবিধা হলে পেশিগুলিকে শিথিল করতে ঘাড়ের কাছে হাত দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। ব্যস্ততার মাঝে এমন সেল্ফ-মাসাজ করলে আরাম পাবেন।

আরও পড়ুন: ভাইরাল জ্বর ? অত চাপ না নিয়ে ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে ফেলুন

Exit mobile version