Want a happy sex life? Here are the 5 key secrets

Secrets to a Better Love Life: সেক্স মানে শুধু ইন্টারকোর্স নয়! জানুন যৌন অনুভূতির পাঁচ রহস্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

যৌনতার প্রকৃত আনন্দ তখনই পাওয়া যায়, যখন স্বামী-স্ত্রীর অনেক না-বলা কথা উভয়ে বুঝতে পারেন অনায়াসে। মাত্র পাঁচটা সহজ স্টেপস-এ কী করে জিতে নেবেন সঙ্গিনীর মন,তা জেনে নিন ।

বেশিরভাগ মহিলাই চান, স্বামী যেন তার সেক্স সিক্রেটস আবিষ্কার করে নেন ভালোবেসে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না সবার ক্ষেত্রে। এই বিষয়ের গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, সিংহভাগ বিবাহিত পুরুষ ঠিকমতো বোঝেনই না তার স্ত্রীর চাহিদা এবং যৌন অনুভূতির রহস্যের বিষয়ে। কিন্তু সত্যি যদি কেউ সেক্স ফিলিংস-এর সঠিক রহস্য আবিষ্কার করে নিতে পারেন, তাহলে তার দাম্পত্য-জীবনের শারীরিক সম্পর্ক মধুময় হবেই।

সেক্স মানেই শুধু ইন্টারকোর্স নয়

আনন্দদায়ক সেক্স মানেই শুধু ইন্টারকোর্স নয় বিবাহিত মহিলাদের কাছে, বরং স্বামীর সঙ্গে অন্য সময়ের সুখানুভূতিও বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্বামী সবসময় নিজের কাজে ব্যস্ত থাকলে কিংবা কোয়ালিটি টাইম না দিয়ে শুধু বিছানায় শারীরিক চাহিদা মেটালে স্ত্রীর অপছন্দের কারণ হয়ে যেতে পারেন। স্ত্রী-র তখন মনে হতে পারে, তিনি শুধু ভোগ্যবস্তুর মতো মর্যাদা পাচ্ছেন স্বামীর কাছে। কারণ প্রায় প্রত্যেক স্ত্রী-ই চান, শুধু বিছানায় নয়, বিছানার বাইরেও যেন অসীম ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন তার স্বামী। গুরুত্ব দিয়ে, সুখদুঃখ শেয়ার করে, আদরযত্নে ভরিয়ে দিয়ে, ভালোমন্দের খোঁজখবর রাখলে তবেই খুশি থাকেন স্ত্রী–এই সত্যিটা বুঝতে হবে লাইফ পার্টনারকে।

‘টার্ন-অন’ করা জরুরি

মানুষ সবসময় হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল থাকতে পারেন না জীবনের নানা সমস্যার কারণে। তাই শরীরও সবসময় প্রস্তুত থাকে না যৌনতার জন্য। অতএব, স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই মানসিক পরিস্থিতি বুঝতে হবে উভয়কেই। মনে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অনুভবের বিষয়। অন্তরাত্মার মিল থাকলে, একে অন্যের মানসিক পরিস্থিতি বুঝতে পারা খুব কঠিন হয় না। আর যেটুকু অনুভবের মাধ্যমে বোঝা কঠিন হবে, তা হালকাচালে কথা বলে বুঝে নিতে হবে। পরিস্থিতি জটিল বুঝলে সেইসময় ইন্টারকোর্স থেকে বিরত থেকে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা উচিত। আর যদি দেখা যায় পার্টনার-এর মনখারাপের সমস্যা তত গভীর নয়, তাহলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ‘টার্ন-অন’ করুন তাকে। অর্থাৎ, সঙ্গীর শরীরকে প্রস্তুত করতে হবে যৌনতার জন্য। এই প্রস্তুতির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন নৈশভোজের সময় থেকে। প্রথমে সঙ্গীর মনখারাপের কারণ জেনে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিন এবং প্রসঙ্গ বদলে মজাদার কথা বলে পার্টনার-এর মেজাজ ফুরফুরে করার চেষ্টা করুন। মাথায় হাত রাখুন, প্রশংসামূলক কথা বলুন, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিন, প্রয়োজনে খুনসুটি করে গাল টিপুন। এরপর ধীরে-ধীরে আদর-আহ্লাদের মাধ্যমে জাগিয়ে তুলুন শরীরকে।

নন-সেক্সুয়াল টাচ্

শুধু যৌনতা নয়, দাম্পত্য সম্পর্ক উপভোগ করা যায় নানা ভাবে। স্বামী কেয়ারিং হলে খুশি হন স্ত্রী-রা। তাই, স্ত্রীর পরিহিত পোশাক ঠিক আছে কিনা তা হাত ধরে ঘুরেফিরে দেখে প্রশংসা করুন। কপালের টিপ প্রপার জায়গায় নেই–এই অজুহাতে টিপ তুলে আবার পরিয়ে দিন হাত ধরে। হঠাৎ করে শাড়ি কিংবা গয়না এনে হাতে দিয়ে পরে দেখাতে বলুন। স্ত্রী যখন শাড়ি গয়না পরে দেখাবে, তখন ‘দারুণ লাগছে’ বলে জড়িয়ে ধরুন। পার্টনার-এর পছন্দের খাবার এনে নিজের হাতে খাইয়ে দিন মাঝেমধ্যে। মোটকথা, নানা অজুহাতে ‘নন্-সেক্সুয়াল টাচ’ প্রয়োজন, যা পার্টনার পছন্দ করেন। মনে রাখবেন, এর সুফল পাবেন পরে। কারণ, ‘সবুরে মেওয়া ফলে’।

পরিপূর্ণ তৃপ্তির প্রয়োজন

যৌন-স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দাম্পত্যে যতবার সম্ভোগক্রিয়া হয়, তার অর্ধেক সময় পরিপূর্ণ তৃপ্তি পান মাত্র ষাট শতাংশ দম্পতি। কিন্তু, এই তৃপ্তির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পরিপূর্ণ যৌনতৃপ্তি পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ায়, বন্ধন দৃঢ় করে। শুধু তাই নয়, যৌনতৃপ্তি শরীরে, মনে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই, পাশবিক ভাবে নয়, পরিপূর্ণ যৌনতৃপ্তির জন্য এগোতে হবে ‘স্লো বাট স্টেডি’ ফরম্যাট-এ। তবে শুধু নিজের পরিপূর্ণ যৌনতৃপ্তির কথা মাথায় রাখলে চলবে না, পার্টনার-কেও খুশি করার দায়িত্ব নিতে হবে। এরজন্য ফোরপ্লে জরুরি। পরস্পরকে আলিঙ্গন করুন, চুম্বনে ভরিয়ে দিন, যৌনসম্পদ উপভোগের আগে, উষ্ণ স্পর্শে তৃপ্তিলাভের আবহ তৈরি করুন এবং একজন অন্যজনকে ধীরে-ধীরে বিবস্ত্র করুন। আর ক্লাইম্যাক্স-এ পশ্চার পরিবর্তনের মাধ্যমে যৌনক্রিয়া উপভোগ করুন।

অ্যাটেনশন আফটার সেক্স

বেশিরভাগ দম্পতিই পূর্ণ আনন্দলাভের পর মুখ ফিরিয়ে শুয়ে থাকেন, যা কাম্য নয়। কারণ, এই স্বভাব শুধু শরীর সর্বস্বতার ইঙ্গিত বহন করে। তাছাড়া, স্খলনের পরেও শরীরের উষ্ণতায় তৃপ্তির রেশ থাকে। তবে মনে রাখবেন, এই আফটার এফেক্ট উপভোগ করতে হলে, ভালোবাসা জারি রাখতে হবে। কারণ, শুধু শরীর নয়, মানসিক তৃপ্তিও প্রধান ভূমিকা নেয় উভয়ের অন্তরাত্মার মিলনের জন্য। আসলে, মানুষ মনে মনেই বাঁচে বেশিটা। তাই, সঙ্গীকে অকপট ভালোবাসুন, আনন্দে থাকুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, শরীরচর্চা করুন আর সেক্স রিলেটেড বাজারি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। দেখবেন, পরিপূর্ণ তৃপ্তিলাভ হবেই।

আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল পৃথিবীর সবথেকে বেশি দামি কন্ডোমের, একটির দাম ৪৭ হাজার টাকা!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest