‘অন্যায় করলে হিন্দু-মুসলমান নেই, ক্রাইম ইজ ক্রাইম’: টিকিয়াপাড়া নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: হাওড়ায় টিকিয়াপাড়ায় মঙ্গলবার পুলিশের হেনস্থা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট সতর্কবার্তা এই ঘটনায় ধর্মীয় রঙ লাগানো চলবে না।

বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে লকডাইন শিথিল করার পরিকল্পনা জানান। বৈঠকের শেষ পর্বে তার কথায় উঠে আসে টিকিয়াপাড়ার নৈরাজ্যের প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করেন। একই সঙ্গে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, এই নিয়ে সংকীর্ণ ধর্মীয় রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টিকিয়াপাড়ার ঘটনা ঘটা উচিত ছিল না। খারাপ ঘটনা।” তবে এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা যে ভাবে সমালোচনা করছেন, তারও পাল্টা সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “টিকিয়াপাড়ায় একটা ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ অ্যাকশন নেবে! তোমার কী! সারাক্ষণ শকুনির মতো বসে আছে। কখন একটা ডেড বডি আসবে আর ঠুকরে ঠুকরে খাবে!”

আরও পড়ুন: ম্যায় জানা নেহি চাতা থা…!ইরফানের শেষ পোস্টেও থেকে যাওয়ার আর্তি

মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। এমনকি র‍্যাফ নামিয়েও পুলিশ শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। উল্টে জনতার মারে জখম হন চার পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি।
ওই ঘটনা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক নীতির সমালোচনা করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্রয়েই রাজাবাজার থেকে মেটিয়াবুরুজ, পার্কসার্কাস থেকে খিদিরপুর লকডাউন মানা হয়নি। টিকিয়াপাড়ার ঘটনা সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এসবে আমরা জাত-ধর্ম দেখি না। অন্যায় করলে কোনও হিন্দু-মুসলমান নেই (সরকারের কাছে)। ক্রাইম ইজ ক্রাইম।” গতকাল রাত্রিবেলা রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে বলা হয়, টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা আবার রিটুইটও করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতভর ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বিজেপির সমালোচনা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আপনারা যেখানে সরকার চালান সেখানে কী হচ্ছে? কই সেসব নিয়ে তো আমরা বলতে যাচ্ছি না। আপনারা যদি মুখ খোলেন তাহলে আমিও আপনাদের প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেব! দিল্লিতে সিএএ-র (নাগরিকত্ব আইন) প্রতিবাদ করতে গিয়ে কত লোক মারা গেছেন আমিও জানি। কিন্তু আমি এসব চাই না।”

আরও পড়ুন: জিন্দিগি বড়ি হোনি চাহিয়ে লম্বি নেহি, প্রমাণ করলেন ইরফান খান

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest