রোগ জাত-ধর্ম দেখে হয় না, নিজামুদ্দিন ফেরতদের প্রসঙ্গে সমালোচকদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: “মহামারি জাতি-ধর্ম মানে না, রোগ কখনও হিন্দু-মুসলিম-খ্রীষ্টান দেখে হয় না। তাই তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।” নিজামউদ্দিন জামাত ফেরতদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিউটাউনের হজ হাউসে কতজন নিজামুদ্দিন ফেরত জামাত সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমায় কোনও সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না। রোগ কোনও ধর্ম দেখে হয় না।”এই বলেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে উঠে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই নিজামুদ্দিন ফেরতদের পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র কিংবা রাজ্য-দুই সরকারকেই কিছু নিয়মকানন মেনে চলতে হয়। কিছুক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়। আমি জানি, যে তথ্যটা মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করবে, সেটা কেনই বা প্রকাশ্যে আনব অযথা।” তবে এরপরই একটি তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারহাটে একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০০জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কড়াকড়ি হোক, বাড়াবাড়ি নয়- লকডাউনের সময়সীমা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বললেন মমতা

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নিজামুদ্দিন ফেরত ১০৮ জন বিদেশিকে আমাদের এখানের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁরা কেউ মায়ানমার, কেউ ইন্দোনেশিয়া, কেউ বাংলাদেশের নাগরিক। সঙ্গে বাংলারও ৬৯ জনকেও রাখা হয়েছে। নিউটাউনের হজ হাউসে মোট ১৭৭ কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আমাদের স্বাস্থ্য দফতর পুরোটা মনিটর করছে।”

দিল্লিতে তবলিগ জামাতে যোগ দেওয়া নিয়ে অনেকে গুজব, ফেক নিউজ ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দেশে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে ২৪ মার্চ। তার আগেই তবলিগ জামাত হয়েছে। আমরা খবর পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। যাঁরা যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। দুর্যোগ, মহামারি এলে জাত-পাত দেখে আসে না। তাই এই সব গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।’’

আরও পড়ুন: লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে, সর্বদলীয় বৈঠকে ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

নিজামুদ্দিনের জমায়েত নিয়ে ঘুরিয়ে কেন্দ্রের ঘাড়েই দোষ চাপান মমতা। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন বিদেশমন্ত্রক আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমাদের হাতে নেই। ওখানে অনুমতি দিয়েছিল বলেই জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু আমরা যখন খবর পেয়েছি তার ছ’ঘণ্টার মধ্যে নিঃশব্দে কাজ সেরেছি।”তারিখ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। নিজামুদ্দিনের জমায়েত ছিল ১৩ মার্চ। তার আগে দিল্লিতে দাঙ্গাও হয়েছে। অনেক ঘটনা ঘটেছে।”

লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শোনা যাচ্ছেন মেয়াদ বৃদ্ধি হতে পারে। সর্বদল বৈঠকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ না এলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।” পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই ভালো বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন করেন।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৩৫, মৃত বেড়ে ১৪৯! আক্রান্ত ৫১৯৪

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest