দিন যত গড়াচ্ছে তাপমাত্রা চড়চড়িয়ে বাড়ছে। সেই ঘামঝরানো হাসফাসানি গরম। শরীরের সব জল শুষে নেবে সূয্যিমামা। এমন গরমের দিনে ঠান্ডা লস্যি কিন্তু খুবই তৃপ্তি দেয়। তাই আজ রইল তেমনই তিনটি দারুণ লস্যির রেসিপি। দেখুন আর শিখে নিয়ে আজই বানিয়ে ফেলুন।
আমের লস্যি
সময়টা ফলের রাজা আমের। তাই আম দিয়ে লস্যি বানালে কিন্তু মন্দ হয় না।
উপকরণ –
খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কাটা পাকা আম – এক কাপ,
কমলালেবুর রস – আধ কাপ,
মধু বা চিনি – চার টেবিলচামচ,
অথবা সুগার ফ্রি দিয়েও করা যায়, মিষ্টি স্বাদের পরিমাণ অনুযায়ী সুগার ফ্রি ব্যবহার করতে হবে।
ঘন টকদই – দুই কাপ,
পেস্তা বাদাম কুচি – সামান্য,
কেশর – এক চিমটে,
কাজু কুচি – সামান্য,
কিসমিস – কয়েকটি,
গোলাপ ফুলের পাপড়ি কয়েকটি,
বরফ কুচি কয়েকটি।
প্রণালী –
জুসার বা মিক্সিতে আমের কুচি দিয়ে রস বের করে নিতে হবে। এর সঙ্গে কমলালেবুর রস, মধু বা চিনি বা সুগার ফ্রি ও টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর আবার মিক্সিতে দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল আমের লস্যি।
এ বার চাইলে কিছুটা বরফও ক্রাশ করে এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অথবা গ্লাসে ঢেলে পরিবেশনের সময় কয়েকটি বরফের টুকরো গ্লাসে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এর পর গ্লাসের ওপর কাজুকুচি, কিসমিস, গোলাপ পাপড়ি ও পেস্তা কুচি দিয়ে তার ওপর সামান্য কেশর (না দিলেও চলে) ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাদা বা গুড়ের রসগোল্লার বদলে অতিথিদের খাওয়ান রসগোল্লার পায়েস, জেনে নিন রেসিপি…
এলাচ দুধ
দুধ অনেকেই খেতে চান না। কিন্তু এই রেসিপিতে একবার দুধ খেয়ে দেখলে খেতে ইচ্ছা করবে বারবার।
উপকরণ –
দুধ – তিন কাপ
নারকেল কোরা – তিন টেবিল চামচ,
পোস্ত ভাজা – তিন টেবিল চামচ,
কাঁচা কাজুবাদাম কুচি বা গুঁড়ো – দুই টেবিল চামচ,
জল – এককাপ,
চিনি/ সুগার ফ্রি – স্বাদমতো,
এলাচগুঁড়ো – সামান্য,
কেশর – অল্প।
প্রণালী –
কড়াইয়ে শুকনো খোলায় অল্প আঁচে প্রথমে পোস্ত ভেজে নিতে হবে। পাঁচ মিনিট নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। এ বার ভাজা পোস্ত, কাজুবাদাম, নারকেল কোরা মিক্সিতে দিয়ে ভালো করে বেটে মিশিয়ে নিতে হবে। হাতে বেটে নিলেও হবে। প্রয়োজনমতো জল এই মিশ্রণে দিয়ে বাটা যাবে। মিশ্রণটি বেশ মিহি হয়ে গেলে দুধ মেশাতে হবে। এর পর ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এ বার মিশ্রণটি ছেঁকে আর একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এর মধ্যে এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে। সমানে ভালো করে নাড়তে হবে। ফুটে উঠলে দুই মিনিট পর চিনি বা সুগার ফ্রি মেশাতে হবে।
এর পর নামিয়ে ভালো ঘেঁটে নিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে দুধের পাত্রটি ফ্রিজে রাখতে হবে ভালো ঠান্ডা করার জন্য।
ঠান্ডা দুধ গ্লাসে ঢেলে ওপর দিয়ে সামান্য কাজু গুঁড়ো, পেস্তা বাদাম গুঁড়ো, কেশর ছড়িয়ে, বরফ কুচি মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
পেস্তা দুধ
উপকরণ –
খোসা ছাড়ানো কাঁচা পেস্তাবাদাম – তিন টেবিল চামচ,
দুধ – তিন কাপ,
কেশর বা জাফরান – সামান্য,
স্বাদমতো চিনি বা মধু বা সুগার ফ্রি।
প্রণালী –
প্রথমে চার-ছয়টা পেস্তা দু’ফালি করে রেখে দিতে হবে। বাকি পেস্তাবাদাম মিক্সিতে পিষে নিতে হবে। মিহি করে গুঁড়ো করা পেস্তায় এ বার দুধ মেশাতে হবে। এ বার মিশ্রণটি গরম করতে হবে। এর পর তাতে কেশর মেশাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন নীচে দলা পাকিয়ে না যায়। তাই সমানে ভালো করে নেড়ে যেতে হবে। ফুটে উঠলে কিছুক্ষণ পরে চিনি বা মধু বা সুগার ফ্রি মেশাতে হবে। আবার ভালো করে নেড়ে নামাতে হবে। নামিয়ে দুধ ছেঁকে আবার নাড়তে হবে। এমন ভাবে নাড়তে হবে যেন ফেনা ফেনা হয়ে ওঠে। তার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করার পালা। ঠান্ডা হয়ে গেলে গ্লাসে ঢেলে ওপর থেকে পেস্তাকুচি, বরফকুচি ও একটু কেশর ছড়িয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই তৈরি করে নিন ধাবা স্টাইল এগ বাটার মশলা