নয়াদিল্লি: ক্রমেই ভয়ংকর আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস। চিনের থেকেও চিনের বাইরে ১৭ গুণ বেশি হারে ছড়াচ্ছে এই রোগ। করোনা থাবা বসিয়েছে ভারতেও। নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে ১৩৭ জনের। অন্য দিকে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৭ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি। ছড়িয়েছে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কারও নিশ্চিত না হলেও করোনা সন্দেহে অনেকেই হাসপাতালে কোয়রান্টিন রয়েছেন। এ ছাড়া হোম কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনেককে।
Director-general of Indian Council of Medical Research (ICMR): We have also engaged non-ICMR, Ministry of Health, govt laboratories include CSIR, DRDO, DBT, govt medical colleges, we have 49 of those labs which will start testing by the end of this week. #coronavirus https://t.co/OPCojwHl5B
— ANI (@ANI) March 17, 2020
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয় করতে এবার বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। পাশাপাশি, সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে ভারত, জানাল আইসিএমআর। এদিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩৭। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের (৪১)। ভারতে করোনায় তৃতীয় মৃত্যুর খবরও এসেছে মুম্বই থেকে।এ দিন আইসিএম আর ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, এতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রেই হত। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত হারে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে তা নির্ণয়ের জন্য এবার বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রের উপরেও নির্ভর করতে চলেছে প্রশাসন। এই বিষয়ে সমস্ত বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রতি বিনামূল্যে Covid-19 নির্ণয় পরীক্ষা করার আর্জি জানান ভার্গব। জানা গিয়েছে, আপাতত এই দায়িত্ব পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকাভুক্ত ৬০টি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি।
আরও পড়ুন: করোনা রুখতে বাংলায় গোমূত্র পান, বিকোচ্ছে গোবরও, খাস কলকাতায় ‘মহৌষধ’ পান করলেন বিজেপি নেতারা
সারা বিশ্বে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আমেরিকা। পরীক্ষামূলক ভাবে করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু করে দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বে মৃত বেড়ে হয়েছে ৭১৭১। আক্রান্ত ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৬০৮ জন। তবে তার মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৯ হাজার ৮৮৩ জন। ফিলিপিন্সে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের সমস্ত সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সে স্কুল, কলেজ, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু বন্ধ। বৃহস্পতিবার থেকে হংকং-এ নয়া নিয়ম জারি হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, এই শহরে যাঁরাই ঢুকবেন, ন্যূনতম ১৪ দিনের জন্য কোয়রান্টিন বাধ্যতামূলক। কম্বোডিয়ায় নতুন করে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি মহামারী আইন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ,যেতে হবে না শিক্ষকদেরও
পশ্চিমবঙ্গে কেউ আক্রান্ত না হলেও হোম কোয়রান্টিনের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১২ হাজার ২০০ জনকে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অবশ্য ২৪৮ জনের আইসোলেশনের সময় শেষ হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১১৯৪২ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ জন। এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সীমানায় স্বাস্থ্য শিবির বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি এমন চেকপোস্ট তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)