নয়াদিল্লি: আগামী মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে লকডাউন। কিন্তু যে হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, আপাতত অধিকাংশ রাজ্যেই লকডাউন ওঠানোর বিরোধী। সেই কারণে এই মাসের শেষ অবধি সরকার বাড়াতে চলেছে লকডাউন, এমনই মনে করা হচ্ছে। তবে দেশের কিছু ক্লাস্টারেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ হয়েছে। যেসব জায়গায় করোনা রোগী নেই, সেখানে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যাতে শুরু করা যায়, তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
সারা দেশকে লাল, কমলা ও সবুজ জোনে ভাগ করার পরিকল্পনা মোদী সরকারের। একই সঙ্গে খুলতে পারে মদের দোকান। হয়তো আংশিক ভাবে চালু হবে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর বৈঠকে এই সকল প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে আক্রান্ত ৩ সাংবাদিক, তাজ হোটেলের ৬ কর্মীরও করোনা পজিটিভ!
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক লকডাউনে কোন জোনে কী কী খোলা থাকবে-
লাল জোন- সংক্রমণের মাত্রা যেখানে অত্যধিক সেই এলাকাগুলিকে লাল জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় মুদিখানা, সবজি, ওষুধ, দুধ ইত্যাদির মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্য কিচ্ছু খুলবে না। যানবাহনও চলবে না লাল জোনে। গৃহবন্দি থাকাকে কঠোর ভাবে নিশ্চিত করবে প্রশাসন।
কমলা জোন- যেখানে সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলক কম সেই এলাকাগুলিকে হলুদ জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সংখ্যক যানবাহন চলায় ছাড় দেওয়া হবে।
সবুজ জোন- যে এলাকায় এখনও কেউ সংক্রামিত হননি সেই এলাকাগুলিকে সবুজ জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও নির্দিষ্ট সংখ্যক যানবাহন চলার পাশাপাশি কিছু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প চালানোয় ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিটিআই। তবে সবটাই করতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অর্থাৎ লকডাউনের প্রাথমিক শর্ত মানতে হবে সর্বত্র।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে ‘রং ফিকে’ হালখাতার, ম্লান এবারের বাংলা নববর্ষ
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জেলায় করোনা সংক্রমণ হয়নি। উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু রাজ্যও এখনও করোনা মুক্ত। বাংলাতেও দেখা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ মূলত কিছু পরিবারের মধ্যে আটকে রয়েছে। সেই মতো রাজ্য সরকারও মাইক্রো প্ল্যানিং করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাড়তি তৎপরতা নিচ্ছে। একই ভাবে সারা দেশেও তিনটি জোনে ভাগ করে লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা বলেন যে আন্তঃরাজ্য যানচলাচলের বিরোধী তাঁরা। তবে প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রীই মদের দোকান খোলার পক্ষে সওয়াল করেন, কারণ খুব বড় পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছেন তারা প্রতিদিন। সেই কারণে মদের দোকান খুলতে পারে কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।কিছু কিছু অঞ্চলে ট্রেন ও বাস পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যতটা আসনসংখ্যা তার কেবল ৩০ শতাংশ লোক তোলা যাবে, এরকম নিয়ম সম্ভবত করে দেওয়া হবে।এই মুহূর্তে বড় শহরগুলিতে অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জন্য নামমাত্র যানবাহন চলছে। সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা রোগী! সংক্রমণের শঙ্কায় বন্ধ হল RG Kar-এর ২ বিভাগ