Site icon The News Nest

লকডাউনে দুঃস্থদের মুখে খাবার দিতে জমি বেচে দিলেন তাজাম্মুল ও মুজাম্মিল

Corona

বেঙ্গালুরু: এই লকডাউনের সময় দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজেদের জমি বিক্রি করে দিলেন দুই কৃষক ভাই দুই ভাই তাজাম্মুল ও মুজাম্মিল পাশা। ব্যবস্থা করলেন ৩ হাজার গরিব মানুষের খাওয়াদাওয়ার। তাঁদের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন প্রায় সকলেই।

কর্নাটকের কোলার এলাকার বাসিন্দা তাজামুল ও মুজাম্মিল।এলাকার দুস্থ মানুষদের তিন বেলা খাওয়াতে জমি বিক্রি করে যে ২৫ লাখ টাকা জোগাড় করেন সেই টাকায় চাল, ডাল, খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ফেলেন তাঁরা।

কর্নাটকের এক সংবাদপত্রকে তাজাম্মুল পাশা বলেন, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে হবে। কিন্তু গরিব মানুষ পেটের দায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাই তাঁদের যদি ঘরে রাখতে হয়, তাঁদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।

কলা চাষ এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করেন তাঁরা। আয়ও হয় যথেষ্ট। দুর্ভাবনা ছাড়া দিব্যি দিন কাটে তাঁদের। কিন্তু লকডাউনের দিনগুলিতে চিন্তাভাবনা তাঁদের স্বস্তি দিচ্ছিল না। নিজেদের জন্য নয়, কীভাবে গরিব মানুষগুলো লকডাউনে খাওয়াদাওয়ার খরচ জোগাড় করছেন, তা নিয়ে বড্ড চিন্তিত ছিলেন দু’জনে।

আরও পড়ুন:  সেলুন থেকে সংক্রমণ! চুল দাড়ি কাটতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত ৬

ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন বসতবাড়ি ছাড়া বাকি সমস্ত জমিজমা বিক্রি করে দেবেন তাঁরা। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। তড়িঘড়ি এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তাতেই সিদ্ধান্ত হয় আপাতত গ্রামেরই সামান্য কয়েকজনকে সাক্ষী রেখে জমির কথা লিখে দেবেন তাঁরা। লকডাউন ওঠার পর আইনি নিয়মকানুন মেনে হবে সম্পত্তি হস্তান্তর। সেই অনুযায়ী লেখালেখি শেষে ২৫ লক্ষ টাকা হাতে পেয়ে যান পাশা ভাইয়েরা।

লকডাউনের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অল্প সংখ্যক লোক দিয়েই চলছে রান্নাবান্না। দুস্থদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। এছাড়াও গরিব মানুষদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। দুই ভাই বলেন, “আমরা দারিদ্রতার মধ্যে বেড়ে ওঠেছি। আমরা বাঁচতে পেরেছি কারণ সকলে আমাদের পাশে ছিল। তাই এবার সকলের পাশে থাকার জন্য এই উদ্যোগ।”

আরও পড়ুন:  অক্ষয় তৃতীয়ায় চাঙ্গা সোনার বাজার! পরের বছর ৮০ হাজারে পৌঁছবে দাম, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Exit mobile version