নয়াদিল্লি: করোনা সম্পর্কে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা অনেকটাই অন্ধকারে। তার চরিত্র কার্যত সম্পূর্ণ অজানা। তাই আগামী দিনে সুস্থ ব্যক্তিরা তো বটেই, এমনকি যাঁরা এক বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরও ফের ওই ভাইরাসের শিকার হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র।
চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে কিছু ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যকর্তাদের কথায়, এক বার আক্রান্ত হলেই যে দ্বিতীয় বার কেউ আক্রান্ত হবেন না, এখনই তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
আজ না হোক কাল, আর পাঁচটি ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসেরও গোষ্ঠী পর্যায়ে (স্টেজ থ্রি) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার পরের ধাপে, অর্থাৎ চতুর্থ পর্যায়ে তা এনডেমিক বা স্থানীয় পর্যায়ের রোগে পরিণত হবে। তখন ওই ভাইরাসকে নিয়ে ততটা ভয় থাকবে না। তত দিনে ওই ভাইরাসকে রোখার প্রতিষেধক বা ওষুধ বাজারে চলে আসবে বলেই আশা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। যে ভাবে এক দশক আগের ঘাতক সোয়াইন ফ্লু –এর ওষুধ হিসেবে ট্যামিফ্লু বাজারে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তদের প্রায় ৩০ শতাংশই নিজামু্দ্দিনের সঙ্গে জড়িত, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
যেহেতু এই ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব বিজ্ঞানীরা বহু কিছু জানেন না। তাই সাবধানতা অবলম্বন সকলের একমাত্র উপায়।তাই বুক ঠুকে বলা যাচ্ছে না যে একবার করোনা ধরলে আর দ্বিতীয় বার হবে না। সেটাই অনেকের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। একবার করোনা হয়ে গিয়েছে বলে যে আর হবে না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না।
চিকেন পক্সের মতো রোগ এক বার হলে শরীরে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। সাধারণত তা দ্বিতীয় বার হয় না। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রেও এমনটাই হবে, তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় শাখার প্রধান রমন গঙ্গাখেদকর। তিনি বলেন, উদ্বেগের বিষয় হল, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও জাপান থেকে ওই রোগে একই ব্যক্তির দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় একশোর বেশি লোক দ্বিতীয় বার ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০ এপ্রিল থেকে যে ক্ষেত্রগুলিতে কাজ শুরু হবে, চোখ বুলিয়ে নিন কেন্দ্রীয় তালিকায়