নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় দফার লডকাউনে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। সংক্রমণের নিরিখে গোটা দেশকে তিন ভাগে ভাগ করে অর্থনীতির চাকা গড়ানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। এর মাঝেই দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সারা দেশে, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
দেশে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৯৭ জন নতুন করে আক্রান্তও হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৩১ হাজার ৩৩২ জন। সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার পরের দু’টি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে গুজরাত ও দিল্লি।মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যে ৯ হাজার ৩১৮ জন করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৪০০ জনের, যা গোটা দেশে সর্বাধিক। গুজরাতে সমক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৪ জন। মারা গিয়েছেন ১৮১ জন রোগী। দিল্লিতে আক্রান্ত ৩ হাজার ৩১৪ জন। তবে সেখানে মৃতের সংখ্যা মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের থেকে অনেকটা কম, ৫৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্লাজমা থেরাপিকে মান্যতা দিল না কেন্দ্র,রোগীর আরও ক্ষতি হতে পারে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ইতিমধ্যেই বহু রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার বা দু’হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮৭ জন। রাজস্থানে ২ হাজার ৩৬৪ জন ও তামিলনাড়ুতে ২ হাজার ৫৮ জন। তেলঙ্গানার ১ হাজার ৪ জন সংক্রমণের শিকার। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সংক্রমণ, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা, এই তিনটি ক্ষেত্রেই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৫। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১৯ জন। মঙ্গলবার, নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, এ রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৫২২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ছাড়াই সিবিএসই-র দশম, দ্বাদশ পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ করা হোক, কেন্দ্রকে আর্জি দিল্লির