চেন্নাই: করোনা রুখতে লকডাউন মানার নির্দেশিকা সারা দেশে জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।তামিলনাড়ুর মুধুবারাপট্টি সে সবের তোয়াক্কা করেনি।ষাঁড়ের শেষকৃত্যে সেখানে শয়ে শয়ে মানুষ জমায়েত করলেন।
ষাঁড়ের শেষকৃত্যের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি ভ্যানে ষাঁড়ের মৃতদেহ বহন করা হচ্ছে। আর সেই ভ্যানের সামনে, পিছনে শয়ে শয়ে মানুষ হাঁটছে। তাঁদের কারও মুখে মাস্ক নেই। গা ঘেষাঘেষি করে তাঁরা সবাই ষাঁড়ের শেষযাত্রায় হাঁটছে। ষাঁড়টির মৃতদেহের উপর ফুল, মালা দেওয়া হয়েছে। জ্বালানো হয়েছে ধূপ। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে প্রায় ১২৫০ জন মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জাল্লিকাট্টুর একটি ষাঁড়ের মৃত্যু হয়। তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় উৎসব জাল্লিকাট্টুতে অংশ নেওয়া ষাঁড়দেরও খুব কদর মানুষের কাছে। তেমনই একটি ষাঁড়ের মৃত্যু হওয়ার পর তার শেষযাত্রায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই অংশ নেন কয়েকশো গ্রামবাসী। সে ছবিই ধরা পড়ছে উপস্থিত কারও ক্যামেরায়। পরে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন:
তবে গেরুয়া শিবিরের লোকজনের কাছে এসবের থেকেও বড় সমস্যা তবলিগ। যদিও বিদ্বেষ প্রচারে বর্তমানে সেইভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন মিলছেনা। তবে ঘুরপথে বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ চলছে ঠিকই। সম্প্রতিতারকা কুস্তিগির ও বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগত তাবলিগি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশ নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যে করেন। বলেন, দেশের সব থেকে বড় এবং একমাত্র সমস্যা হল জামাতিরা।
বিতর্ক শুরু হলে ৩০ বছরের ববিতা জানান, তিনি তবলিগ জামাত নিয়ে টুইট করার পর থেকে নানা রকম হুমকি পাচ্ছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘গত কয়েক দিনে আমি বেশ কিছু টুইট করেছি (তাবলিগি জামাত সংক্রান্ত)। এরপর আমাকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে অনেক হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। আমি বলতে চাই আমি জাইরা ওয়াসিম নই। আমি ভয় পাই না। আমি বরাবর দেশের হয়ে লড়ে এসেছি। আমি নিজের টুইটটির সঙ্গেই আছি। কোনও ভুল লিখিনি আমি।” কঙ্গনা রানাওয়াতের বোনও তাবলিগি জামাত নিয়ে টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। ববিতা সমর্থন করেন কঙ্গনার বোনকে।
আরও পড়ুন: