নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। সারা দেশে করোনায় মৃত উনিশ। আক্রান্ত ৮৭৩। ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪৯। আর এই মারক ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের বগি গুলোকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলানো হচ্ছে।রেলওয়ের তরফ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর রেলে জগাধরি ওয়ার্কশপে ২৮ টি বগিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বদলানো হয়েছে। রেলওয়ে জানিয়েছে যে, প্রতিটি কোচে ৯টি করে রোগী থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দেশের ‘কঠিনতম চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলায় ৫০০ কোটি অনুদান টাটা গোষ্ঠীর
করোনার মতো সংক্রামক ব্যাধিকে রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে? গত বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন নতুন ভাবনা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই রেলের কামরাগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তাব আসে। সূত্রের খবর, ওই দিনই রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব। সঙ্গে ছিলেন রেলের সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজার ও ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা। সেখানেও ওঠে ওই প্রস্তাব।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস নিয়ে নয়া তহবিল ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, অক্ষয় দিলেন ২৫ কোটি
দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি এক্সপ্রেস ট্রেন চালায় ভারতীয় রেল। কিন্তু লকডাউনের জেরে আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। এই অবস্থায় এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলিকে আপৎকালীন ভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলে, সেখানকার নিকটবর্তী স্টেশনে প্রয়োজন মাফিক ওই চলন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ড পাঠিয়ে দেওয়াও যাবে। সঙ্গে মেডিক্যাল স্টোর, আইসিইউ-র মতো পরিষেবাও থাকবে বলেও জানিয়েছেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শও নিচ্ছে রেল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি হাজার জন মানুষ পিছু হাসপাতালে ০.৭টি করে শয্যা রয়েছে। কিন্তু হু জানিয়ে দিয়েছে, এই রোগ মোকাবিলায় প্রতি ১ হাজার জন পিছু হাসপাতালে অন্তত ৩টি করে শয্যা প্রয়োজন। ভারত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২-তে নিয়ে যেতে চাইছে। সেই কারণেই রেলওয়েকে ভিন্ন ভাবে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Corona Update: রাজ্যে আরও ২ জনের করোনা, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭
এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা তাতে ২০ হাজার কোচকে এই ভাবে কোয়ারেন্টাইন হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হবে। ট্রেনের এই আইসোলেশন সেন্টারগুলিতে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চালাচ্ছে রেলমন্ত্রক।ট্রেনের প্রতিটি বগির টয়লেটগুলিকে এককরে একটি বাথরুমও বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির কোনও অসুবিধা না হয়।