নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে দেশে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৪৬৩। দেশজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৮১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৯ জনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৩।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর জের, ইডেন বিল্ডিংয়ের পর মেডিক্যালে বন্ধ আরও দুই ওয়ার্ড
দেশে এখনও অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৯২৭২। তবে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ১১৯০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল গতকালই জানিয়েছিলেন, দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশের শরীরেই সংক্রমণ মৃদু। বাকি ২০ শতাংশকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে বিশেষ পর্যবেক্ষণে।
করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সে কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গোটা দেশে ২২১টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন মোদী। সেই কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা এ ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: খাবারটুকুও নেই, ঘরে ফেরার তাগিদে বান্দ্রা স্টেশনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু, এই তিন রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে ২৩৩৭ জন সংক্রমিত। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে করোনা ধরা পড়েছে ১৫১০ জনের। তামিলনাড়ুতে ১,১৭৩ জন আক্রান্ত ধরা পড়েছেন।
মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। সেখানে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন। দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা ২৮।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০। যদিও নবান্নের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এ রাজ্যে ‘অ্যাক্টিভ’ করোনা রোগী রয়েছেন ১১০ জন।
মঙ্গলবারই দেশে লকডাউন আরও ১৯ দিন অর্থাৎ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে দেশের যে সব এলাকায় হটস্পট তৈরি হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল