নয়াদিল্লি: রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৯৯০ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাসের জীবাণু ধরা পড়েছে। ফলে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৪৯৬। তবে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮০৩ জন রোগী।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমছে বলে গতকাল, শনিবারই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দাবি করা হয়েছিল, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় বেড়েছে এবং করোনায় আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হারও বেড়েছে। সব মিলিয়ে স্বস্তির হাওয়া ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই এক দিনে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি হল। ক্লাস্টার এলাকায় সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে দেশের ৬৮ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছেন ২৭টি জেলায়।
আরও পড়ুন: করোনায় আশা দেখাচ্ছে প্লাজমা চিকিৎসা, আগামী সপ্তাহে পরীক্ষা শুরু বাংলাতেও
শুধু মহারাষ্ট্রেই গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮১১ জন। পর্যবেক্ষকদের মতে, মহারাষ্ট্রে নতুন আক্রান্তের এই বিপুল সংখ্যার জন্যই সারা দেশেও সেই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। এর পর মধ্যপ্রদেশে ৯৯ জন এবং দিল্লিতে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মতো গুজরাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। গুজরাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৭১। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬২৫। এর পর আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পর পর রয়েছে রাজস্থান (২০৮৩), মধ্যপ্রদেশ (২০৯৬) তামিলনাড়ু (১৮২১), উত্তরপ্রদেশ ১৭৯৩, অন্ধ্রপ্রদেশের (১০৬১) মতো রাজ্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১১ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে রাজ্যে ৪২৩ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ১৮।
আরও পড়ুন: নাকে দু’ফোঁটা তেল ঢাললেই করোনা শেষ! নয়া টোটকা নিয়ে আসরে রামদেব