নয়াদিল্লি: দেশে নোভেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্যমন্ত্রকের তরফে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত যে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৩৩ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুরও সংখ্যাও। ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৭২ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ১১ হাজার ৭০৬ জন রোগী।
আক্রান্তের নিরিখে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ৬৭৮ জন বেড়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১২ হাজার ৯৭৪ জন। করোনার থাবায় সে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৫৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত ও দিল্লি। গুজরাতে মোট আক্রান্ত ৫৪২৮ জন ও দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৪৫৪৯ জন। তামিলনাড়ুতেও আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: Lockdown Effect: তিরুপতিতে ছাঁটাই ১৩০০ অস্থায়ী কর্মী
আক্রান্তের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জেরে মৃত্যুর সংখ্যাতেও দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তার পরেই গুজরাত। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের। মধ্যপ্রদেশে ২ হাজার ৮৪৬ জন আক্রান্ত করোনায়। এই রোগে সেখানে এখনও অবধি মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। এই তিনটি রাজ্য ছাড়া বাকি আর সব রাজ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০০ নীচে।
দু’দফায় ৪০ দিনের লকডাউনে হাঁপিয়ে ওঠা দেশের ঘরবন্দি দশার মেয়াদ বেড়েছে আরও দু’সপ্তাহ। আপাতত ১৭ মে পর্যন্ত। তবে গ্রিন জোন গুলিতে কড়াকড়ি কিছুটা কম। তুলনায় অরেঞ্জ জোন আঁটোসাঁটো। নতুন করে করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়ায় মানচিত্রও প্রতি সপ্তাহে বদলে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৯ এপ্রিল দেশে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯,৯৭৪। আজ তা ৪০ হাজার পেরিয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার বেড়েছে মাত্র পাঁচ দিনে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল রয়েছে। সুস্থ হওয়ার হারও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বিপদের ২০-র তালিকায় কলকাতা, এবার ‘পাবলিক হেলথ টিম’ পাঠাচ্ছে কেন্দ্র