কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, রবিবার বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্রতীদের অভিনন্দন জানাতে। তাতেই অত্যুৎসাহী হয়ে পাঁচটা বাজতেই পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় কাঁসর – ঘণ্টা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন দলে দলে মানুষ। রবিবার বিকেলের পর থেকে সেই সব ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। যা দেখে অবাক চিকিৎসক মহল।চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, সারাদিন তবে বাড়িতে থেকে লাভ কী হল?
আরও পড়ুন: রাজ্যের কোথায় কোথায় হবে লকডাউন? দেখে নিন পূর্ণ তালিকা
রবিবার ‘জনতা কার্ফু’-র মধ্যেই বিকেল ৫টায় নিজের বাড়ির বারান্দা বা দরজায় দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীদের অভিনন্দন জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাততালি দিয়ে বা ঘণ্টা – থালা বাজিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন চিকিৎসাব্রতীদের।
https://www.facebook.com/100009962378303/videos/1123122198029849/
আরও পড়ুন: করোনা সঙ্কট: সোমবার থেকে ব্যাঙ্কেও শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা মিলবে
প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশে অত্যুৎসাহী কিছু লোক কাঁসর-ঘণ্টা নিয়ে রবিবার বিকেলে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। এ দিন বিকেলে ঠিক পাঁচটা বাজতেই জায়গায় জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন অনেকে। কেউ সঙ্গে এনেছিলেন কাঁসর-ঘণ্টা। কেউ আবার হাতা-খুন্তি সহযোগে হাঁড়ি বা গামলা। কোথাও শোনা যায় ‘জয় মা করোনা’ ধ্বনি। তফাতে দাঁড়িয়ে সে সব বাজানো তো দূর, অনেককেই দেখা গিয়েছে, সে সব বাজাতে বাজাতে একে অন্যের গায়ে ঢলে পড়ছেন আনন্দে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে যেখানে, সেখানে এই স্পর্শ কতটা নিরাপদ? বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন ভিডিয়ো আপলোড করেছেন সাধারণ মানুষ।
https://www.facebook.com/100000706758558/videos/3220720267961500/
কয়েকটি আবাসনে আবার বিতর্ক আরও এক ধাপ বাড়িয়ে পুজোর সময়ে জমিয়ে রাখা শব্দ-বাজিও ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সলতেয় আগুন দিয়ে বাগমারি পার্কের আবাসনের এক তরুণীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আসছে বছর আবার হবে।’’ পাশে দাঁড়ানো প্রতিবেশীদের হাততালি দেওয়ার দৃশ্য প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, মারণ রোগ নিয়ে শহরের সচেতনতা কি আসলে তলানিতেই?
আরও পড়ুন: ফের করোনা থাবা কলকাতায়, আক্রান্ত আরও ৩
ই এম বাইপাস লাগোয়া যে আবাসনে রাজ্যের প্রথম করোনা-আক্রান্ত থাকেন তার পাশের একটি আবাসন থেকে আবার খবর এসেছে, একসঙ্গে অনেকে মিলে সেখানে জড়ো হয়ে বক্সে ‘উই শ্যাল ওভার কাম’ বাজিয়েছেন। একসঙ্গে জমায়েত করে এ হেন ‘কর্মসূচি’কে সমর্থন করতে পারছেন না কেউই।
আরও পড়ুন: প্যানিক করবেন না…জেনে নিন, লক ডাউনে খোলা থাকবে কী কী? কী কী বন্ধ?