নয়াদিল্লি: দিল্লির চাঁদনী মহল এলাকাকে দু’দিন আগেই হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার চাঁদনী মহল থানারই দুই কনস্টেবলের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। ৩০ বছর বয়সী ওই দুই পুলিশকর্মীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, এক পিৎজা ডেলিভারি বয়ের থেকে সংক্রমণ ছড়াবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিল্লিতে। ওই ছেলেটির সংস্পর্শে আসা ৭২ জনকে রাখা হয়েছে হোম-কোয়ারেন্টাইনে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা রোখা অসম্ভব, সাফ জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ
দিল্লির একটি জনপ্রিয় পিৎজা রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত ওই যুবকের আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জেলাশাসক জানান, ওই যুবকের সঙ্গে ১৭ জন কাজ করতেন। তাঁদের ছাতারপুরে সরকারের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক বিএম মিশ্র বলেন, ‘গত একমাস ধরে ওই ব্যক্তির শরীর ভালো ছিল। তাঁর কাশি ছিল। কিন্তু কয়েকটি হাসপাতাল সেটিকে সাধারণ ফ্লু বলে। উনি সেরে ওঠেননি। নমুনা পরীক্ষার জন্য তাঁকে আরএমএল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’
আরও পড়ুন: Lockdown 2.0: খিদে মেটাতে শ্মশানের ‘পচা’ কলা খাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা
আক্রান্ত ছেলেটির কোনও ভ্রমণ ইতিহাস নেই। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে কোনও করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছে এই যুবক। একটি বিবৃতিতে খাবার ডেলিভারি সংস্থা জানিয়েছে আক্রান্ত ছেলেটি মালভিয়া নগরে অনেক জায়গায় খাবার পৌঁছে দিয়েছিল। সংস্থা জানত না যে ছেলেটি করোনা আক্রান্ত। যে রেষ্টুরেন্ট থেকে ছেলেটি খাবার নিয়ে গিয়েছিল, ইতিমধ্যে সেটি বন্ধ করা হয়েছে। “করোনা সংক্রমণ যেকোনও ব্যক্তির হতে পারে। আমরা যখন একটি অত্যাবশকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আমাদের আইসোলেশনে থাকা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত যেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে না।” এমনটাই বিবৃতিতে জানিয়েছে খাবার ডেলিভারি সংস্থা।
উল্লেখ্য, গতকালই কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ এপ্রিলের পর বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হবে। তার মধ্যে অন্যতম ই-কমার্স। তবে, দিল্লির এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল, ই-কমার্স ক্ষেত্রকে ছাড় দিলে কতটা সুরক্ষিত থাকবে মানুষ। কেননা বাড়ি-বাড়ি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডেলেভারি বয়রাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে? টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার