নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের ধাক্কায় তীব্র সঙ্কটে দেশের অর্থনীতি। উন্নয়নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের রুজি-রুটির প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে এ বার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন থেকে ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সেই টাকা খরচ হবে করোনাভাইরাস এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলায়। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যপালরাও তাঁদের বেতনের ৩০ শতাংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন প্রকাশ জাভড়েকর। তাঁদের না নেওয়া বেতন এবং মন্ত্রী-সাংসদদের বেতনের অংশ একটি তহবিলে জমা হবে। সেখান থেকেই ওই অর্থ খরচ হবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায়।
আরও পড়ুন: করোনার অন্ধকার দূর করতে একজোট বলিউড, অক্ষয়ের উদ্যোগে প্রকাশ্যে ‘মুসকুরায়েগা ইন্ডিয়া’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হল। তবে এ দিন বৈঠক হয়েছে ভিডিয়ো কনফারেন্সে। বৈঠকের পর প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘‘১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে পরিবর্তন আনার জন্য একটি অর্ডিন্যান্সে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এপ্রিল মাস থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। সাংসদদের পেনশনের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় আগামী দু’বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে (এমপিল্যাড) টাকা (প্রায় ৭,৯০০ কোটি টাকা) জমা পড়বে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অর্থও ওই ফান্ডে চলে যাবে। তবে রাজ্যের মন্ত্রীরাও বেতন নেবেন কিনা, সে বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য।
আরও পড়ুন: মৃত্যু আক্রান্তের, বন্ধ NRS-এর পুরুষ বিভাগ-সিসিইউ! কোয়ারেন্টাইনে ৬৫ ডাক্তার-নার্স