মোদীর সাবধানবাণী তোয়াক্কা না করে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য তবলিগকেই দুষলেন যোগী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লখনউ: যোগী আছেন যোগীতেই। দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য দিল্লির তবলিগ জামাত সম্মেলনকেই কাঠগড়ায় তুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, ওই জমায়েত না হলে ভারতে করোনার প্রকোপ হয়ত এত ব্যাপক আকার ধারণ করত না। এই ‘অপরাধ’-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

শনিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে তবলিগ জামাতের ভূমিকা সবচেয়ে ন্যক্কারজনক। যে কেউ রোগে আক্রান্ত হতেই পারেন, কিন্তু সেই তথ্য লুকিয়ে রাখা অবশ্যই অপরাধ। এবং তবলিগ জামাতের সঙ্গে যুক্তরা এই অপরাধ করেছে।’ তিনি তোপ দেগে বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশ এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় তবলিগ জামাতের সদস্যরাই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যদি ওরা সংক্রমণ না ছড়াত আর তথ্য না লুকাত তাহলে দেশে করোনা ভাইরাসের জেরে মহামারি রুখে দেওয়া যেত।’

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ঘরে খাবার নেই, ক্ষুধার্ত শিশুকে ভোলাতে পাথর ‘রান্না’ মায়ের

যোগী আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্য যে সব জায়গায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, তার পিছনে তবলিগ জামাতেরই হাত রয়েছে। ওরা রোগের কথা না লুকোলে, যত্রতত্র সংক্রমণ ছড়িয়ে না দিলে এত ব্যাপক আকার ধারণ করত না করোনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।’’

মার্চের শুরু থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত তবলিগ জামাতের কার্যকলাপ চলে। ১৩ মার্চ কেন্দ্র জানিয়েছিল করোনা ‘হেলথ ইমার্জেন্সি নয়’। তবলিগ জামাতের সম্মেলন মিটে যাওয়ার পরেও ১০-১২ দিন দিল্লির নিজামউদ্দিনের মসজিদে প্রায় ২০০০ দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি ছিলেন। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তবলিগ জামাত কর্তৃপক্ষ। তাদের একাধিক মৌলানার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট বলেছেন কেউ যেন এইভাবে কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথা না বলে। করোনার কোনও জাত নেই। সকলকে একজোট হয়ে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের গলাতেও ছিল তেমনই সুর। তিনি বলেছিলেন কোনও একজনের কারণে গোটা সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করা উচিত নয়। তবলিগ জামাতের লোকেদের এই হেনস্থা আরব দুনিয়া ভালোভাবে নেয়নি। সেটা তারা ভারতকে বুঝিয়েও দেয়। কিন্তু তারপরও মোদী কিংবা ভাগবতের কথাকে আমল না দিয়ে তবলিগ জামাতের লোকেদের ফের কাঠগড়ায় তুললেন যোগী। এর ফলে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, সংঘপ্রধান কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কথার থেকে কি কট্টরহিন্দুত্ববাদীদের তুষ্ট করতেই যোগী অধিক আগ্রহী? নাকি তিনি মোদী-ভাগবতের এই সাবধানবাণীকে নিছকই ছেলে ভোলানো গোছের কথা বলে ধরে নিয়েছেন ? এই ঘটনার পর যদি প্রধানমন্ত্রী চুপ করে থাকেন তাহলে অনেকেই ধরে নেবেন সাধারণের জন্য যে বার্তা দেওয়া হয়, তার বাইরে রাখা হয় যোগীদের।

আরও পড়ুন: অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে হাজির বিড়াল! হতবাক চিকিৎসকরা

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest