কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জারি সতর্কতা ঘিরে ক্ষোভ ছড়াল দমদম কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারে। জেলকর্মীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত জেল চত্বর।
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতা: জেরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত উচ্চ মাধ্যমিক
জেলবন্দিরা যাতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না পড়েন, সে জন্য সাময়িক ভাবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য কারা দফতর। শুক্রবারের ওই সিদ্ধান্ত ঘিরেই এ দিন সকালে গন্ডগোল শুরু হয়। জেল সূত্রে খবর, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত বিচারাধীন বন্দিরাই থাকেন। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধের প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। জেল সুপার নিজে বিক্ষোভ থামাতে গেলে, তাঁর সামনে একাধিক দাবি নিয়ে হাজির হন বন্দিরা। বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মতো তাঁদেরও প্যারোলে ছাড়তে হবে।
এই নিয়েই জেল কর্তৃপক্ষ এবং বন্দিদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা সংঘর্ষের আকার নেয়। অভিযোগ, ওই সংঘর্ষ চলাকালীন জেল পুলিশ এবং বাইরে থেকে র্যাফ এসে ওয়ার্ডের মধ্যেই বিচারাধীন বন্দিদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। তার পাল্টা ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ বন্দিরা। সেইসময় বিক্ষুব্ধ বিচারাধীন বন্দিরা ওয়ার্ডের গেট ভেঙে বাইরে বেরনোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁরা দা এবং কুড়ুলের মতো অস্ত্রও হাতে তুলে নিয়েছেন বলে জেলকর্তাদের দাবি। শুধু তাই নয়, অবিযোগ, জেলের ওয়ার্ডে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছেন বন্দিরা। ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন পৌঁছেছে। পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অন্য দিকে বন্দিদের পরিবারের দাবি, জেলরক্ষীরাজেলের ভিতরে বন্দিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: তোমরাও করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ নও, ইয়ং জেনারেশানকে সতর্ক করলেন হু-প্রধান
ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনের মাথা ফেটে গিয়েছে।