কলকাতা: কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। ইংল্যান্ড ফেরত বালীগঞ্জের যে তরুণ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁর বাবা-মা ও বাড়ির পরিচারিকার শরীরেও মিলল COVID-19! ঠিক এই আশঙ্কাটাই করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতায় দ্বিতীয় আক্রান্ত ছিলেন ওই তরুণ।
ইংল্যান্ড ফেরত কলকাতার প্রথম করোনা আক্রান্ত তরুণ যে চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় তরুণও তাই করেছিলেন। আর তাতেই ঘটে গেল এই মারাত্মক ঘটনা।
আরও পড়ুন: BREAKING: এবার লক ডাউন কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরশহর! কার্যকর সোমবার বিকেল থেকেই
বালীগঞ্জের আলিশান আবাসনে বাস। ১৩ তারিখ লন্ডন থেকে কলকাতায় আসেন ওই তরুণ। বিমানবন্দরে থেকেই তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারানটিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই এই এতগুলো দিন কখনও বাবার দোকানে, কখনও বা প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের শপিং মল, রাসবিহারীর শপিং মল, কখনও বা কলকাতার নামকরা রেস্তোরাঁ- সব জায়গাতেই অবাধ বিচরণ ছিল ওই তরুণের।
বাবার বাথরুম ফিটিংসের বিরাট ব্যবসা। দক্ষিণ কলকাতার এসপি মুখার্জি রোড এবং ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটে দু’দুটি বড় দোকান। ওই দোকান দুটির একটিতে একাধিক দিন গিয়েছেন ওই তরুণ। সেই সময়ে দোকানের অন্যান্য কর্মী, গ্রাহকরাও ছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুললেও তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি সে বা তাঁর বাবা। অভিযোগ এমনটাই। ওই আবাসনেই থাকেন কলকাতার এক মেয়র পারিষদ। গোটা ঘটনায় তিনিও রুষ্ট।
আরও পড়ুন: প্যানিক করবেন না…জেনে নিন, লক ডাউনে খোলা থাকবে কী কী? কী কী বন্ধ?
গোটা ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই আবাসনের বাকিরা। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, শিক্ষিত সমাজের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কি আদৌ সচেতনতা আশা করা যায় না? গোটা বিশ্ব যখন করোনায় বিপর্যস্ত, তখন সেই লন্ডন থেকে ফিরে কলকাতায় কয়েকদিন ধরে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ালেন দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত তরুণ।