কলকাতা: এমনিতে করোনার নাম শুনলেই আঁতকে উঠছে পাবলিক। লকডাউনের জেরে বাইরে বেরনোর গতি এমনিতেই নেই। যেটুকুও বা বেরোচ্ছে তাও নাকমুখ বেঁধে। এই পরিস্থিতিতে খরিদ্দার টানা বেশ কষ্টকর। আর করোনার কোপে মন্দায় পড়া ব্যবসাকে উদ্ধার করতে তাই করোনাকেই হাতিয়ার করেছে যাদবপুরের হিন্দুস্তান সুইটস।
এইট বি-র কাছে এই মিষ্টির দোকান তৈরি করেছে করোনা কাপকেক। সোমবার দোকান থেকে মিষ্টি কিনলে বিনামূল্যে মিলবে একটি করে কেক। দোকানের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রেতাদের আকর্ষিত করতেই এই ভাবনা। এর আগে পিঙ্ক বল মিষ্টি বানিয়ে চমক দিয়েছিলেন এই দোকানের বিক্রেতারা।করোনাভাইরাসের মতো কাঁটা কাঁটা এই সন্দেশ আদৌ কি পিঙ্ক বলের মতো জনপ্রিয়? সেই প্রশ্নের অবশ্য উত্তর খুঁজে পেতে মিষ্টির স্রষ্টাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।
আরও পড়ুন: মৃত্যু আক্রান্তের, বন্ধ NRS-এর পুরুষ বিভাগ-সিসিইউ! কোয়ারেন্টাইনে ৬৫ ডাক্তার-নার্স
যাদবপুরের ওই দোকানে বসে কর্ণধার রবীন পাল জানান, বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেওয়া করোনাভাইরাস এখন সর্বত্র আলোচ্য বিষয়। আতঙ্কের এই আবহে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাই কারিগরদের দিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে ওই বিশেষ সন্দেশ এবং কেক। এই মিষ্টি খাইয়ে তো বটেই, এমনকি মিষ্টির প্যাকেটেও করোনা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হবে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী।
করোনা-বিপর্যয় ঠেকাতে সারা দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। অন্য সব কিছুর মতোই সেই কারণে বন্ধ মিষ্টির দোকানও। তাই গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন বেশির ভাগ কারিগর। কিন্তু দিন কয়েক আগে নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাড়ার মিষ্টির দোকানগুলি চার ঘণ্টার জন্য খুলে রাখতে অনুরোধ করেন। পরদিনই দোকানে থাকা অল্প কয়েক জন কারিগর নিয়ে নেমে পড়েছিলেন এই বিক্রেতা।
রবীনবাবুর দাবি, করোনাভাইরাস মানেই আতঙ্ক। তবে এই করোনা সন্দেশের স্বাদ মানুষকে খুশি করবে। নতুন মিষ্টি বানিয়ে কী বার্তা দিতে চাইছেন তাঁরা? মিষ্টি ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘প্যাকেটে থাকছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নির্দেশিকা। সে সব মেনে চললে ফের এক দিন করোনামুক্ত বিশ্বে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবেন মানুষ। এটাই শুধু বলতে চাইছি।’’
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১, মৃত ৩, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী