নয়াদিল্লি: কিছুটা হলেও কমেছে নয়া সংক্রমণের হার।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে।এখন নয়া রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সাতদিন লাগছে, আগে যেটি তিন দিনে হচ্ছিল।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪,৪২৫। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৮৮।করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র মহারাষ্ট্র। গোটা দেশের নিরিখে আক্রন্তের সংখ্যা ও মৃত্যু, দুটি ক্ষেত্রেই শীর্ষে রয়েছে ওই রাজ্যটি।পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ২৮৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ জন বেড়েছে। এই তথ্য অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। নবান্ন জানাচ্ছে, এ রাজ্যে ‘অ্যাক্টিভ’ করোনা রোগী রয়েছেন ১৬২ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ১০ জনের।
আরও পড়ুন: করোনার কোপে লাল সিং চাড্ডা! পিছিয়ে যাচ্ছে মুক্তির দিন
করোনা ভাইরাসের কারণে যখন অন্যান্য দেশ ধরাশায়ী হয়ে পড়ছে, তখন ভারতে কিন্তু এই রোগের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটাই সামলে এসেছে। প্রথম দফা লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই, আবার আগামী ৩ রা মে অবধি দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে এখন কিছুটা হলেও কমছে সংক্রমণের হার। এবং এর পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের ফলেও মৃতের সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে, সুস্থ হচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষই।
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পরিষেবায় কোন সমস্যা নেই। মানুষজন সঠিকভাবে লকডাউন পালন করছে। ICMR -এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা টেস্ট এখন আরও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। একদিনে ২৮৩৪০ জনকে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৩৯৩২ জনের পরীক্ষা ICMR- এর ১৮৩ টি ল্যাবে করা হয়েছে। ৪৪০৮ জনকে প্রাইভেট ল্যাবে টেস্ট করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯৯৯ টি কোভিদ-১৯ হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে সমগ্র ভারতে। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার আইশোলেশন বেড, ২১ হাজার ৮০০ ICU বেড রয়েছে।
আরও পড়ুন: চরম সংকটের মধ্যে অন্য দেশকে সাহায্য, ভারতকে কুর্নিশ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ