কলকাতা: চব্বিশ ঘণ্টা খোঁজ মেলেনি কোনও আক্রান্তের। তার জেরে কিছুটা হাঁফ ছেড়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কিন্তু সেই ছবিটা উধাও হয়ে গেল রাতে। রাজ্যে করোনাভাইরাসে হলেন আরও এক ব্যক্তি। ফলে, রাজ্যে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ, চিলি, হং-কং- করোনা আতঙ্কে বদলে গেল গোটা বিশ্বের গণআন্দোলনের গতিপথ
সূত্রের খবর, গত ২৩ মার্চ ওই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার রাতে রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁকে আপাতত ওই হাসপাতালেরই আইসিসিইউতে রাখা হয়েছে।জানা গিয়েছে, তাঁর বিদেশ যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। তবে সম্প্রতি তিনি মেদিনীপুরে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কোনও ভাবে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ চিকিত্সকদের।
আরও পড়ুন: করোনার লকডাউনেও চতুর্থ শ্রেণীর সংবাদকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভয় দেখিয়ে!
একইসঙ্গে তাঁদের ভাবাচ্ছে আরও একটি বিষয়। যদি মেদিনীপুরেই বৃদ্ধ সংক্রামিত হন, তাহলে যাঁদের থেকে মারণ ভাইরাস তাঁর শরীরে এল, তাঁদের শারীরিক অবস্থা কী? তাঁরা এখন কোথায় আছেন?তবে আরও একটি সম্ভাবনাও বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত তরুণের বাড়ি পঞ্চসায়র এলাকায়। সেখান থেকে নয়াবাদের দূরত্বও বেশি নয়। ওই বৃদ্ধ কোনওভাবে আমলা-পুত্রের সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: পুলিশের বাড়াবাড়িতে নষ্ট ১৫ হাজার লিটার দুধ, ১০ হাজার কেজি সবজি- অভিযোগ ই-কমার্স সংস্থাগুলির
এদিকে, রাতের দিকে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে নির্দেশ দেয় স্থানীয় পুলিশ। বাড়ির সামনে পুলিশের প্রহরাও বসানো হয়েছে। আপাতত বাড়ির সদস্যদের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পরবর্তীতে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের হাসপাতালে ডাকা হতে পারে।