কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আরও একজনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। তাতে আবার সেই ব্রিটেন যোগ উঠে এল।গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন বয়স ২২-এর ওই যুবক। বালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনে তাঁর বাড়ি। বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। তবে লন্ডন থেকে ফেরায় তাঁকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কারফিউয়ের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিবারের দাবি, সেই নির্দেশমতো বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেই সময় যুবক জানান, লন্ডনে তাঁর দুই অবাঙালি সহপাঠীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একজন ছত্তিশগড়ের রায়পুর ও অপরজন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা। তবে গত বুধবার পর্যন্ত ওই যুবকের দেহে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা মেলেনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁর সর্দি-কাশি শুরু হয়। সেদিনই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁকে ভরতি করে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়। গভীর রাতে সেই রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায়, ওই যুবক COVID-19-এ আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: অবশেষে ফাঁসি হয়ে গেল নির্ভয়ার চার ধর্ষক-হত্যাকারীর
বেলেঘাটা আইডি সূত্রের খবর, সমস্ত নিয়ম মেনে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে।বালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। পাশাপাশি কয়েকটি ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর পরিচিতরাও। প্রত্যেককেই আপাতত গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁর বাবা-মা, জেঠু, দাদু-দিদিমা-সহ আত্মীয় স্বজনের উপর নজর রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজনে তাঁদের রাজারহাটের কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে।
এই নিয়ে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২জন। এর আগেও লন্ডন ফেরত এক তরুণের দেহে মেলে এই সংক্রমণ। তাঁকে নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানাজানি হওয়া মাত্রই তাঁকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডিতে। অভিযোগ ওঠে, লন্ডন থেকে ফেরার পর থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন করোনায় আক্রান্ত ওই তরুণ। শোনেননি চিকিৎসকদের কোনও পরামর্শ। মা সরকারি আমলা হওয়াতেই প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যায় ওই যুবক। অভিযোগ, ওই তরুণ কলকাতায় ফেরার পর বেলেঘাটা আইডি-তে না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে যান। এমনকি বাড়ির লোকও পরামর্শ শোনেননি বলে অভিযোগ। এরপর অবশেষে বেলেঘাটায় ভর্তি করা হয় তাঁকে। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ জন। যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।