নয়াদিল্লি: রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এভাবে লকডাউনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন। এই মর্মে অঙ্গরাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র। একইভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যে শ্রমিক, যেখানে আটকে, তাঁকে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। খাওয়ার, জল ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। কেন্দ্রীয় তরফে রবিবার এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা, ২০০ কিমি হেঁটে রাস্তাতেই মৃত্যু রেস্তরাঁ কর্মীর
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পথে নেমেছে। অভিযোগ, “যেহেতু কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই তাঁদের দায় নিচ্ছে না মালিকপক্ষ। কোনও কোনও জায়গায় আবার বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে শ্রমিকদের।” এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফেরাই এখন উপায়, সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অনেক শ্রমিক। ফলে এই উপায় বাস্তবায়িত করতে দেশের বিভিন্ন শহরের বাস স্ট্যান্ডে উপচে পড়ছে ভিড়। গাদাগাদি হয়ে বাসে সওয়ার হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। শনিবার দিল্লির (Delhi) আনন্দবিহার বাস টার্মিনাসের ছবি দেখে শিহরিত নাগরিক সমাজ। বাড়িও ফেরার তাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে বাসের অপেক্ষায় শয়ে-শয়ে শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই পরিস্থিতির বদল চাইছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: এখনও সজাগ নয় জনতা, ভয় দেখাতে পথে নেমেছে করোনা ভাইরাস!
রবিবার এই মর্মে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই সব শ্রমিকরা যে লকডাউন বিধি ভেঙে নিজের রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সে কথাও বলা হয়েছে তাতে। সেই সঙ্গে এক গুচ্ছ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,
• রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে গরিব মানুষ ও আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে
• যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যেই বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন তাঁদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে
আরও পড়ুন: বিরল ঘটনা! এই প্রথম শিশুমৃত্যু করোনায়, চিন্তায় চিকিৎসকরা
• লকডাউনের সময় শিল্প, দোকান-সহ বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির নিয়োগকর্তাদের তাঁদের কর্মীদের বেতন কাটা চলবে না
• পরিযায়ী-সহ যে সব শ্রমিকরা বাড়ি ভাড়া করে রয়েছেন, টাকার জন্য তাঁদের উপর চাপ দিতে পারবেন না বাড়ি মালিকরা
• যদি কোনও বাড়ি মালিক শ্রমিকদের বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেন তবে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে