Site icon The News Nest

হাওড়ার হটস্পটে আক্রান্ত পুলিশ, ভাঙচুর ২টি গাড়ি, নামল র‌্যাফ

কলকাতা: হাওড়ার অন্যতম হটস্পট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ।ভাঙচুর হল পুলিশের ২টি গাড়ি।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় র‌্যাফ।

মঙ্গলবার দুপুরে এক দল যুবক পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরে হেনস্থা করতে থাকে। এই ঘটনার জেরে কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। উত্তেজিত যুবকেরা আশপাশের দোকান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের পদস্থ অফিসারেরা। পুলিশি নিগ্রহের এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এদিন হাওড়া থানা এলাকার বেরিলিয়াস রোডে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। বিকেলে বেরিলিয়াস রোডের বাজারে ফল কিনতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের পরোয়া না করেই ফল কিনতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের নিষেধ সত্বেও ক্রমশ বাড়তে থাকে ভিড়।

আরও পড়ুন: এবার ভারতেই তৈরি হবে করোনা টেস্ট কিট, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পুলিশের অভিযোগ, এ দিন ওই এলাকায় লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বহু মানুষ রাস্তায় ঘুরছিলেন। অনেকে মোটরবাইকেও ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এই সময় পুলিশের একটি দল টহল দেওয়ার সময় সেখানে এসে পৌঁছয়। জনতাকে বাড়ি চলে যেতে বলে পুলিশ। এই সময়েই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। আচমকাই কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে ছুড়তে এগোতে শুরু করে। বেশ কয়েক জন পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারতে থাকে। দোকানে হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ। র‌্যাফ নামানো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়। এমনকি র‌্যাফের লোকজনকেও মারধর করা হয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের উপর এই হামলার নিন্দা করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী বলেন, একজন সাধারণ মানুষ, প্রশাসনের একজন কর্মী হিসেবে এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে বলেছি, কড়া পদক্ষেপ করতে।তিনি বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় প্রশাসন সাহায্য করছে। এক জন নাগরিক এবং প্রশাসনের কর্মী হিসাবে মনে করি, কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ বলেন, “কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাল, তা দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না।”

আরও পড়ুন: ৫ দিন মেয়ের দেহ আগলে মা, আতঙ্ক বেলঘরিয়ায়

Exit mobile version