১৪ এপ্রিলের পরও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার আর্জি অধিকাংশ রাজ্যের, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠুক বা না উঠুক, তার পরে আরও অন্তত এক মাস স্কুল, কলেজ, শপিং মল, সিনেমা হল, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মতো জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর তেমনই সুপারিশ করেছে করোনাভাইরাস নিয়ে গঠিত বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী। মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব কেন্দ্রও মেনে নিতে পারে বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর।

১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন কি উঠবে, নাকি সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে? আপাতত দেশের সর্বত্র এই প্রশ্ন। বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে। কেন্দ্র সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার কথা জানালেও এখনও স্পষ্ট করে লকডাউনের বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে এমন ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে বলাই যায় যে, এখনই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৩৫, মৃত বেড়ে ১৪৯! আক্রান্ত ৫১৯৪

অর্থাৎ সারা দেশে লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও বড় জমায়েত যাতে না হয়, সেই রাশ এখনই তুলে নেওয়া যে ঠিক হবে না, তেমনই মত দিয়েছেন মন্ত্রীরা। মঙ্গলবার এই নিয়েই বৈঠক করে বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। ওই বৈঠকের সূত্রেই খবর, আরও এক মাস স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, সিনেমা হল, ধর্মীয় জমায়েতের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রীরা। স্কুল কলেজে এমনিতেই গরমের ছুটি প্রায় শুরু হয়ে যাবে। পাশাপাশি করোনার হটস্পটগুলিতেও কড়া নজরদারি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত কোনও ভাবেই দেশব্যাপী লকডাউন একেবারে উঠে যাবে না। ধাপে ধাপে শিথিল করে তোলা হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এমন অবস্থায় বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য  লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যগুলির প্রস্তাব পর্যলোচনা করবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও সোমবার বলেন, “সঠিক সময়ে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ জুনের মধ্যেই সবথেকে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তেলেঙ্গানা ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: টোকে অনেকেই কিন্তু বাদশাহর মত ঋণ স্বীকার করতে পারে কজন!

Gmail
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest