নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯-এ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ পেরোলেও দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পরিষ্কার ভাবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল যে ভারতে সংক্রমণ এখন দ্বিতীয় স্টেজ বা স্থানীয় সংক্রমণের পর্যায়তেই রয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কথায় দেশের মানুষ যে কিছুটা স্বস্তি পাবেন তা বলাই বাহুল্য। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব অগ্রবাল জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতে যদি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয় তা হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Panic Buying-এ লাগাম, চাপে নাকাল সংস্থা বাঁধল গ্যাস বুকিংয়ের সময়
সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১০০। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র ও কেরলে। এই নিয়ে প্রতিদিন রুটিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর-এর প্রতিনিধিরা। সোমবার লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘কোথাও আমরা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠী সংক্রমণ) বলতে পারছি না। আমরা এখনও স্থানীয় সংক্রমণের পর্যায়ে আছি। ‘গোষ্ঠী’ শব্দটি বললেই নানা রকম জল্পনা ছড়াবে।’’
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ: কোয়রান্টিনে পাঠানো হল ২০০০ জনকে, ঘেরা হল দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকা
করোনা সংক্রমণে ভারত দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে বলে জানিয়ে লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায় হল, সরাসরি যাঁরা সংক্রামিত দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। সরকারি ভাবে ভারত এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে, যে স্তরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিদেশফেরত কোনও ব্যক্তি বা আত্মীয়ের সংস্পর্শে এলে তবেই আক্রান্ত হচ্ছেন।’’ স্থানীয় সংক্রমণের বিষয়ে তাঁর দাবি, এই ক্ষেত্রে কম মানুষ আক্রান্ত হন। ভাইরাসের সংক্রমণের উৎস ও শৃঙ্খল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেটা হয় না।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার থেকে ঘরবন্দি গোটা দেশ। এই ছ’দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার দিন ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। আর ২৮ মার্চ পর্যন্ত সংক্রামণ বেড়ে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৬০টি জেলায়। কিন্তু অন্যান্য দেশে যে হারে ছড়িয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে ভারতে বৃদ্ধির হার কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর-এর। লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে বেড়ে ১০০০ হতে সময় লেগেছে ১২দিন। কিন্তু অন্যান্য দেশে প্রতিদিন ৩০০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত বাড়ছে। লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কিছু সুফল আমরা পাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: অমানবিক যোগীরাজ্য! পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর কেমিক্যাল স্প্রে করার ভিডিও ভাইরাল