লকডাউনের মেয়াদ কি বাড়বে? কেসিআরের আবেদনের পর তুঙ্গে জল্পনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তার আগেই নিজের রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এ দিন একই পথে চলার কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশও। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ! মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ‘মাতশ্রী’ সংলগ্ন এলাকা সিল

লকডাউনের মধ্যেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ১০০ পার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিলের পরেও দেশে লকডাউন জারি রাখার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকারও। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখতে বলেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দিনের বৈঠক নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক। তিনি জানান, গোটা দেশ থেকে এই মারণ ভাইরাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাই যে সমস্ত জায়গায় করোনার প্রকোপ বেশি, সেই জায়গাগুলিতে লকডাউন বহাল রেখে, বাকি জায়গাগুলিতে ধাপে ধাপে সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনা ছকে রাখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন: করোনার অন্ধকার দূর করতে একজোট বলিউড, অক্ষয়ের উদ্যোগে প্রকাশ্যে ‘মুসকুরায়েগা ইন্ডিয়া’

চন্দ্রশেখর রাওয়ের দাবি, ‘বৃহত্তর প্রেক্ষিতে আমরা পরে দেশ ও রাজ্যের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারব। কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার ফলে যে অজস্র মানুষের মৃত্যু হবে, তাঁদের জীবন কোনও ভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’ রাওয়ের মতে, নিষাধাজ্ঞা উঠে গেলে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিনতর হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ‘এতদিন ধরে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতি অগ্রাহ্য করেও আমরা কষ্ট সহ্য করেছি, তার সবই জলে যাবে যদি পরিস্থিতি আগের মতোই হয়ে যায়।’

সূত্রের দাবি, এদিনের আলোচনায় উঠে আসে বন্ধ হয়ে থাকা স্কুল, কলেজ খোলার ব্যাপারও। তবে সে ব্যাপারেও কেন্দ্রের মত, তাড়াহুড়ো করে কিছু করা হবে না। অনেক স্কুলেই গৃহহীনদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কোথাও কোথাও অভিবাসী শ্রমিকরা রয়েছেন। আবার অনেক স্কুলে কোয়ারেন্টাইনও বানানো হয়েছে। সুতরাং, এখনই স্কুল, কলেজ খোলার কোনও প্রশ্ন নেই। এমনকি লকডাউন উঠে গেলেই দেশে রেল ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমন ভাবারও কারণ নেই।

সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পাকা সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সব প্রস্তাবই রয়েছে আলোচনার টেবিলে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন: মৃত্যু আক্রান্তের, বন্ধ NRS-এর পুরুষ বিভাগ-সিসিইউ! কোয়ারেন্টাইনে ৬৫ ডাক্তার-নার্স

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest