ওয়েব ডেস্ক: করোনাভাইরাস মানুষেরই তৈরি। এবং সেটা তৈরি হয়েছে উহানের ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবরেটরিতে। দাবি, নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্তাজিনিয়ের। এইডস ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই এই মারণ ভাইরাসের জন্ম হয়েছে বলে ধারণা তাঁর।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র চিনের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে চলেছে। এর দায় চীনের ওপর চাপিয়েছে তারা। ট্রাম্প তো সরাসরি এটিকে উহান ভাইরাস বলে একাধিকবার খোঁচা দিয়েছেন। ঠিক এমন সময় ফরাসি বিজ্ঞানীর দাবিতে আরও চাপে বেজিং। শুধু আমেরিকাই নয়, অনেক দেশই প্রকাশ্যে না মুখ খুললেও মনে করছে চিনে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: CORONA: সব দেশের সরকারকে রমজান মাসের গাইডলাইন দিল WHO
বিজ্ঞানী লুক মন্তাজিনিয়ের দাবি, করোনাভাইরাস মানুষেরই তৈরি। এবং সেটা তৈরি হয়েছে উহানের ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবরেটরিতে। তাঁর দাবি, এইডস ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই এই মারণ ভাইরাসের জন্ম হয়েছে।
এক ফরাসি সংবাদমাধ্যমে মন্তাজিনিয়ের দাবি করেছেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে এইচআইভি-র সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়ার জীবাণুও রয়েছে। এটাই অত্যন্ত সন্দেহজনক। তাঁর আরও দাবি, কোভিড-১৯-এর যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে, তা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হতে পারে না।২০০৮ সালে এইচআইভি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন লুক মন্তাজিনিয়ের।
ওই সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, উহান ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবেরটরিতে ২০০০ সালের গোড়া থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। সেখান থেকেই সম্ভবত দুর্ঘটনাবশত এই ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, কীভাবে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরু হল, তা নিয়ে আমেরিকা তদন্ত করছে। তাঁর কথায়, “চিন বলছে, তারা তদন্ত করছে। দেখা যাক তারা তদন্ত করে কী পায়। কিন্তু আমরাও আমাদের মতো করে তদন্ত করছি। যদি এটা চিনের ইচ্ছাকৃত প্রমাণ হয় তবে ফলভোগ করতে হবে।”ফরাসি বিজ্ঞানীর এই দাবিতে নিঃসন্দেহে চিনের উপরে চাপ বাড়ল। তবে চিনের বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য দাবি করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি চিনে ওই জীবাণু এনেছিল।সে দেশে আগেই করোনা শুরু হয়েছিল, যাকে ফ্লু বলে চালানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে থাকলে শাস্তি পেতে হবে’, চিনকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের